বিগত সপ্তাহেই ভারত তার ১০০ তম ইউনিকর্ন পেয়েছে। সংস্থাটির নাম ওপেন। এটি ইউএসডি ১ বিলিয়ন মূল্যে ইউএসডি ৫০ মিলিয়ন সংগ্রহ করেছে। সব মিলিয়ে স্টার্ট-আপগুলি এখনও পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ইউএসডি ৮০ বিলিয়ন সংগ্রহ করেছে, যার মোট বাজারমূল্য তৈরি হয়েছে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ‘ইউনিকর্ন’ বলতে ইউএসডি ১ বিলিয়নের বেশি মূল্যের স্টার্ট-আপগুলিকে বোঝায়। ২০২১ সাল ইউনিকর্নের হঠাৎ সংখ্যাবৃদ্ধি হয়। মোট ৪৪টি স্টার্টআপ সংস্থা নথিভুক্ত হয়। যার ফলে বছরভর ইউনিকর্ন ক্লাবে প্রবেশ করেছে ইউএসডি ৯৩ বিলিয়ন। ২০২২ সালের প্রথম চার মাসে, ভারতে ১৪টি ইউনিকর্ন নথিভুক্ত হয়েছে, যাদের মোট মূল্য ইউএসডি ১৮.৯ বিলিয়ন। তবে ডেটা অ্যানালিটিক্স ফার্মের তথ্য অনুসারে, ১০০ ইউনিকর্নের মধ্যে মাত্র ২৩টি, বা ১ বিলিয়ন ডলার বা তার বেশি মূল্যের স্টার্ট-আপগুলি একটি আর্থিক বছরের জন্য লাভের মুখ দেখেছে।
প্রসঙ্গত, সারা দেশেই উদ্যোগপতিদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারন্যাল ট্রেড স্বীকৃত স্টার্টআপ সংস্থার উপস্থিতি দেশের সবক’টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ৬৪৭ টি জেলাতেই রয়েছে। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রক গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে স্টার্টআপ ইন্ডিয়া উদ্যোগের সূচনা হওয়ার পর থেকে, ২রা মে পর্যন্ত দেশে ৬৯,০০০ টিরও বেশি স্টার্ট-আপ স্বীকৃতি পেয়েছে। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে যে, “ভারতে শিল্পোদ্যোগ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। আমরা ৫৬টি বৈচিত্র্যময় সেক্টরে স্টার্ট-আপগুলিকে ১৩ শতাংশ আইটি পরিষেবা, ৯ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবন বিজ্ঞান, ৭ শতাংশ শিক্ষা, ৫ শতাংশ পেশাদার ও বাণিজ্যিক পরিষেবা, ৫ শতাংশ কৃষি, এবং ৫ শতাংশ সহ সমস্যা সমাধানের স্বীকৃতি দিয়েছি।”
এপ্রসঙ্গে ‘থ্রিওয়ানফোর’ ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার সিদ্ধার্থ পাই বলেছেন, “যদি কোম্পানির বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি লাভের পথে না যায়, তাহলে যে কারও পক্ষে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু আপনার যদি এমন একটি কোম্পানি থাকে যা লাভজনক হয়ে উঠছে এবং খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাহলে এটি একটি খুব আকর্ষণীয় বিনিয়োগের সম্ভাবনা হয়ে ওঠে।” মন্ত্রক বলেছে যে ভারতে একটি ইউনিকর্ন হওয়ার জন্য একটি স্টার্ট-আপের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ সময় যথাক্রমে ৬ মাস এবং ২৬ বছর। ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত, প্রতি বছর প্রায় একটি ইউনিকর্ন যোগ করা হচ্ছিল। গত চার বছরে (২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে), এই সংখ্যাটি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রতি বছর অতিরিক্ত ইউনিকর্নের সংখ্যায বছরে ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধির পেয়েছে। এমনই জানিয়েছে বিবৃতিটি।