একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। আর সেই লক্ষ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারতে দলকে বড় টার্গেট বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন। এই দুই রাজ্যেই ক্ষমতা দখল করতে চায় তৃণমূল। আর আসামে অভিষেকের লক্ষ্য ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ১০টি আসন জেতা।
বুধবার একদিনের আসাম সফরে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিয়ে দলের সদর দফতরের উদ্বোধন করেছেন তিনি। আসামের মাটিতে সরকারিভাবে এদিনই তৃণমূলের পথচলা শুরু হলেও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের বক্তব্য, রিপুন বোরা যেদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, সেদিন থেকেই আসামে কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। তাঁর বক্তব্য, আসামে এই মুহূর্তে কোনও বিরোধীই নেই। কংগ্রেসকে দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হবে না। তাই কংগ্রেসিরা লড়াই করার জন্য তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২০২৬ সালে আসামে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সেরাজ্যে দলের শক্তিপরীক্ষার জন্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকেই টার্গেট করছেন অভিষেক। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর আহ্বান, ‘আপনারা শুধু কথা দিন, আসামে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ১৪টি আসনেই পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়বেন। আর ১৪টি আসনের মধ্যে অন্তত ১০টি আসনে তৃণমূলকে জিতিয়ে আনুন।’ কর্মীদের তাতাতে ত্রিপুরার উদাহরণও টেনে এনেছেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ‘ত্রিপুরার পুরভোটে মাত্র ৩ মাস লড়াই করে ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। আসামে তো প্রায় ২ বছর সময় আছে। তাহলে কেন হবে না?’
এর পাশাপাশি অভিষেকের বলেন, আগামী বিধানসভাতেই ত্রিপুরাতে ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূল। মেঘালয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল। সেখানেও আগামী বিধানসভায় তৃণমূল ক্ষমতা দখল করবে। তাঁর সাফ কথা, তৃণমূল যখন কোথাও লড়াই করে, তাহলে সেটা জেতার জন্যই লড়ে। আমি খুব জেদি ছেলে। ক্ষমতা দখল না করা পর্যন্ত ছাড়ব না। উল্লেখ্য, আসামে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে আগামী কয়েকমাসের মধ্যে সে রাজ্যের রাজ্য কমিটি, জেলা কমিটি এবং প্রতিটি বুথে কমিটি গড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অভিষেক। জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী মাসে ফের তিনি নিজে আসাম যাবেন। কর্মীরা যখন ডাকবেন, তখনই তিনি নিজে হাজির হবেন। এমনকী শীঘ্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আসামের মাটিতে পা রাখবেন।