একদিনের সফরে আসামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই চান না আসাম বিজেপির রিমোর্ট কন্ট্রোলে পরিণত হয়ে থাকুক। আসামের নিজস্ব জাত্যাভিমান রয়েছে। দিল্লী কেন আসামকে চালাবে? বাংলা বা গুজরাত কেন আসামকে চালাবে। আসাম নিজে নিজের সম্মান রাখতে জানে।’
একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, ‘ তৃণমূল ঝুঁকেগা নেহি। চোখে চোখ রেখে কথা হবে। ২০২৪-এ মসনদ ওলটাতেই হবে। যাই করে নিক, আমরা ভয় পাই না। মরণপন লড়াই হবে। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত জান দিয়ে লড়াই করব। রাস্তায় নেমে লড়াই হবে। মার খাব কিন্তু মাথা নোয়াব না। তৃণমূল ঝুঁকবে না। সীমান্তে সেনাদের যেমন মানসিকতা, আমাদেরও তেমন মানসিকতা। তৃণমূল ময়দান ছেড়ে পালিয়ে আসে না।’
এদিকে, এদিন বিজেপি বিরোধীতার কথা বলতে গিয়েই কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি। তাঁর বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আগাগোড়াই বারবার এসেছে কংগ্রেসের প্রসঙ্গ। অভিষেক এদিন অসমের কর্মীসভা থেকে বলেন, ‘যতদিন না পর্যন্ত বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে পারব, ময়দান ছেড়ে পালাব না। আপনারা যখন আমায় ডাকবেন পাশে পাবেন। খালি লড়াইয়ের জন্য আসামে পা রাখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কংগ্রেস ছেড়ে এসেছেন। টুইটার-ফেসবুকে লড়াই করি না আমরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ময়দানে নেমে, মার খেয়ে, তবেই লড়াই হবে। তবেই পেট্রল-ডিজলের দাম কমবে।’
এরপরই তিনি কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে তফাৎ ব্যাখ্যা করেন। অভিষেক এদিন বলেন, ‘একবার যখন কোথায় পৌঁছে যায় তৃণমূল সেখানে ঘাঁটি গেড়ে তবেই ছাড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লড়াই করে না তৃণমূল কংগ্রেস। মাঠে নেমে, ঘাম-রক্ত ঝরিয়ে লড়াই করে। মার খায়, রক্ত ঝরে, তাও মাথা ঝোঁকায় না তৃণমূল। কংগ্রেসের মতো আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।’