রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে ‘স্থগিতাদেশ’ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। আইনের পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় কোনও মামলা রুজু করা যাবে না। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে জেলবন্দি আছেন, তাঁরা আদালতে মুক্তির আবেদন করতে পারবেন।
এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভারত এই আইন পুনর্বিবেচনা করবে। আবেদনকারীরা বলেছেন, আইনটির অপব্যবহার করা হচ্ছে। অ্যাটর্নি জেনারেলও হনুমান চালিশা মামলায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের উল্লেখ করেছিলেন। পুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত আইনের এই বিধানটি ব্যবহার না করাই উপযুক্ত হবে। আমরা আশা করি পুনর্বিবেচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি ১২৪-এর ক ধারার অধীনে কোনও এফআইআর নথিভুক্ত করা থেকে বিরত থাকবে’।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যদের বেঞ্চ আরও বলেছে, এটা স্পষ্ট যে ১২৪এ ধারা সময়োপযোগী নয়। ঔপনিবেশিক শাসনের লক্ষ্যে সেই ধারা চালু করা হয়েছিল। আমাদের আশা, যখন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে, ততক্ষণ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় কোনও এফআইআর দায়ের করা, তদন্ত চালু রাখা বা বিরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার।’
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বে তিন বিচারকের বেঞ্চ-এ তার শুনানি চলছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে কেন্দ্রের মত জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্র যতদিন না তার মত জানায় আপাতত ততদিন রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।