কথায় আছে, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। আর এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চুটিয়ে শিল্প-সাহিত্য চর্চাও করে থাকেন তিনি। আর সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি ‘নিরলস সাহিত্য সাধনার’ জন্যই পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির বিশেষ পুরস্কার মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তারপর থেকেই দু’একজন সাহিত্যিক থেকে রাজনীতিবিদ এর সমালোচনা করতে নেমে পড়েছেন। এবার এ নিয়েই মুখ খুললেন বাংলা আকাদেমির সভাপতি তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তিনি বলেন, ‘এটা একমাত্র বাঙালিদের একটা অংশই করতে পারে! তাই বলতে ইচ্ছে করছে, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি। অবাঙালিরা এমন করতেন না।’ বাংলা আকাদেমি সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রদত্ত পুরষ্কারটি এক লক্ষ টাকার। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এই টাকা নিচ্ছেন না। বাংলা অ্যাকাডেমি তাঁদের সব পুরষ্কারের ক্ষেত্রে জুরি বোর্ড দিয়ে ঠিক করে। এই পুরষ্কারের কমিটিতে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, আবুল বাশার, সুবোধ সরকার, শ্রীজাত, প্রচেত গুপ্ত, অভীক মজুমদার, অর্পিতা ঘোষ, প্রসূন ভৌমিক, প্রকাশক গিল্ডের কর্তা সুধাংশুশেখর দে, ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ আছেন।
