কোভিড পরিস্থিতিতে ১৯ মাস সেই টাকার সরবরাহ রোধ করে কেন্দ্র। এরপর সাংসদ তহবিলের টাকা ফের পুরনো নিয়মেই বরাদ্দ হয়। তবে এবাহর সেই টাকার ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম এনেছে কেন্দ্র। সাফ জানানো হয়েছে বছরের সাংসদ তহবিলের টাকার সুদ ফের কেন্দ্রের কাছেই জমা করতে হবে, তা ব্যবহার করতে পারবেন না সাংসদরা।
নিয়মের ফাঁকফোকড় নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। উল্লেখ করেছেন সাংসদের ‘সুপারিশের অধীন’ -এ থেকে সাংসদতহবিলের টাকা ফেরতের বিষয়গুলি। যদিও মন্ত্রক সূত্রের খবর, তহবিলের টাকা যেন সঠিক সময়ে সঠিক কাজে ব্যবহৃত হয়,তার জন্যই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১১ এপ্রিল এই বিষয়ে একটি নোট প্রকাশ করে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তরফে এই বিষয়ে তাঁরা মতামত জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, বছরে ২.৫ কোটি টাকা করে প্রত্যেক সাংসদ দুই ক্ষেপে সংসদ তহবিলের টাকা পেয়ে থাকেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর সাংসদদের একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, এলাকার উন্নয়নে প্রতিবছর ৫ কোটি টাকা ধার্য থাকে সাংসদ পিছু তহবিলের জন্য। এবার থেকে সেই টাকার সুদ কেন্দ্রকে জমা দিতে হবে। মার্চে জারি হওয়া এক বিবৃতিতে সেই তথ্যই সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এরপর ১১ এপ্রিল এই বিষয়ে একটি নোট প্রকাশ করে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তরফে এই বিষয়ে তাঁরা মতামত জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, বছরে ২.৫ কোটি টাকা করে প্রত্যেক সাংসদ দুই ক্ষেপে সংসদ তহবিলের টাকা পেয়ে থাকেন। যা এলাকার উন্নয়নে খরচ করার কথা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সামনে রেখে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে এবং উন্নয়ন দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সেক্টরের নিরিখে।’
তিনি জানান সেই নিরিখে সাংসদ তহবিলে এই বদল আনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাম সাংসদ জন ব্রিটাস চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে। সেখানে বলা হয়েছে ২০১৬ সালের সাংসদ তহবিলের তুলনায় কতটা আলাদা করা হচ্ছে নয়া নিয়ম।