মঙ্গলবার কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জের জাতীয় সড়কের ধারে ভোররাতে ঘটে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে গেল বেসরকারি বাস। আহত কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী। বাস ওভারলোডিং থাকার কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পালটি খেয়ে যায় বলেই অভিযোগ বাস যাত্রীদের। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।
আহত বাস যাত্রীদের পুলিশ উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷ এঁদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা করে অনেককেই ছেড়ে দেওয়া হয়৷ তবে ছ’জন বাস যাত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতরা হলেন সুজিত আক্তার, নুরী খাতুন, শাহনাজ পারভিন, সুমন বিশ্বাস৷
বাসের ছাদে জিনিসপত্র ওভারলোড করার অভিযোগ নতুন নয়৷ প্রশ্ন উঠেছে, কেন বারবার বেসরকারি বাসের ছাদে জিনিসপত্র ওভারলোডিংয়ের বিষয়টি ঘটছে৷ শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা বেশ অনেকখানি পথ৷ তাতে বহু জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ উপস্থিত থাকার কথা৷ অথচ প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে দিনের পর দিন এই ওভারলোডিংয়ের ঘটনা কেন ঘটবে!
আশঙ্কাজনক ছ’জনের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেলেও, দু’জনের নাম এখনও জানা যায়নি। এঁদের মধ্যে সুমন বিশ্বাসের বাড়ি কোচবিহার জেলায়৷ এলাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত তিনি৷ সোমবার রাতে শিলিগুড়ি থেকে বেসরকারি বাসে উঠে তিনি কলকাতা যাচ্ছিলেন৷
অন্যদিকে, সুজিত আক্তার, নুরী খাতুন ,শাহনাজ পারভিন বাড়ি হাওড়া জেলার বাসিন্দা। এঁরা সবাই দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিলেন। ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় তাঁরা শিলিগুড়ি থেকে এই বেসরকারি বাসে করে কলকাতায় ফিরছিলেন। আহত সুমন বিশ্বাসের অভিযোগ, গাড়ির সিট পুরো ভর্তি ছিল৷ এরপরেও বাস মালিক থেকে শুরু করে চালকরা গাড়ির ছাদের উপরে পিঁয়াজের বস্তা রেখেছিলেন।
গাড়িটি শিলিগুড়ি থেকে ছাড়ার পর কিছু দূর গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে৷ এরপর প্রথমে একটি টোটোকে ধাক্কা মারে৷ সেসময় তাঁরা বলেছিলেন চালককে গাড়ি আস্তে চালানোর জন্য। চালক যাত্রীদের কথা না শুনে গাড়িটি জোরেই চালাতে থাকেন৷ এমনকি বাসের ছাদে এত পিঁয়াজের বস্তা ওভারলোডিং নিয়েও চালককে বলা হয়েছিল। তিনি কর্ণপাত করেননি৷ গাড়ি ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল। তারপর ভোর রাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি পাল্টি খেয়ে যায়।