দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে। ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে বদলে যাবে। এই নিম্নচাপের অভিমুখ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে। বাংলা, ওড়িশা উপকূলের দিকে একটু একটু করে সরবে। ঘূর্ণাবর্ত আরও শক্তিশালী হচ্ছে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবারই ঘূর্ণাবর্ত গমীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেবে। দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর থাকবে এই নিম্নচাপ। এর জেরেই গোটা বাংলাজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে।
আজ, শুক্রবার ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। ক্রমশ যা রূপান্তরিত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দুই রাজ্য। মে মাসের শুরুতেই ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। আর ক্রমশ সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হতে চলেছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সে কথাই বলছে। আজ শুক্রবার ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। ক্রমশ যা রূপান্তরিত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ওডিশা সরকার।
বিগত কয়েক বছরে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের বীভৎসতার সাক্ষী থেকেছে বাংলার এই পড়শি রাজ্য। এই প্রসঙ্গে ওডিশার মুখ্যসচিব এস সি মহাপাত্র বলেন, ”ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য তৈরি। ক্ষয়ক্ষতি কী হতে পারে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের তৎপর করা হয়েছে।”
বাংলাতেও কী আছড়ে পড়বে সাইক্লোন? কোন পথে এগোবে ঘূর্ণিঝড়? এখনও এই নিয়ে চূড়ান্ত পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। শনিবারের আগে এ ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন তাঁরা।