রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা সাইট একুশের বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রকল্প বাস্তবায়নের আরও বেশি করে জোর দিয়েছেন তিনি। এবার দুয়ারে সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পৌঁছে দেবে কাটোয়া পুরসভা। অসুস্থ, বয়স্ক যে সমস্ত নাগরিকদের লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই খোদ কাউন্সিলর তাঁদের বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে দেবেন।
জানা গিয়েছে, কাটোয়া পুরসভার এলাকায় যে সমস্ত বয়স্ক, অসুস্থ, শয্যাশায়ী মানুষ রয়েছেন, এখনও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করাতে নির্দিষ্ট কেন্দ্র যেতে পারছেন না, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করানোর উদ্যোগ নিয়েছে কাটোয়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। অসুবিধার কথা কেবল কাউন্সিলরকে জানাতে হবে। কাউন্সিলরই খোদ বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করানোর ব্যবস্থা করে দেবেন।
সম্প্রতি কাটোয়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক সত্তরোর্ধ্ব বাসিন্দার বাড়িতে গিয়ে সাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে দিয়েছেন এলাকার কাউন্সিলর চৈতালী মিত্র ঠাকুর। পুরসভার কর্মীরা একেবারে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছবি তুলে, স্বাক্ষর নিয়ে এসে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য এনরোলমেন্ট করিয়ে দেন। কয়েকদিন পর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এলে কাউন্সিলর চৈতালী মিত্র ঠাকুর স্বয়ং বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়ে আসেন।
শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা শুভেচ্ছাপত্রও বৃদ্ধার হাতে তুলে দিয়েছেন। যা পেয়ে আপ্লুত সত্তরোর্ধ্ব ওই প্রবীণ মহিলা এবং তাঁর পরিবার। এলাকার অসহায়, বয়স্ক মানুষগুলো যাতে অন্তত চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্যই বাড়িতে গিয়ে পুরসভার এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর। নতুন পুরবোর্ড গঠনের পর এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৫০০ জনকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়া হল বলে জানিয়েছেন কাটোয়ার পুরপ্রধান।