ইদের সকালে রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রায় ৩ বছর পর প্রয়াত রিজওয়ানুরের পার্ক সার্কাসের বাড়িতে গেলেন মমতা।
এদিন সকালে প্রথমে রিজওয়ানুরের পার্ক সার্কাসের বাড়ির সামনে বেদিতে মালা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন রিজওয়ানুরের মা ও দাদা রুকবানুর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। সকলকে ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মিনিট ২৫ পর ফিরে যান মমতা ও অভিষেক।
রিজওয়ানুরের মৃত্যুর পর তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনের যে তীব্রতা তৈরি করেছিলেন তাতে আন্দোলিত হয়েছিল নাগরিক সমাজও। অনেকের মতে, রিজের মৃত্যুর পর একদিকে যখন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকারের পুলিশের প্রতি সংখ্যালঘুদের অনাস্থা তৈরি হয়েছিল তেমনই মমতার প্রতি আস্থাশীলও হয়েছিলেন তাঁরা। যা বাংলার রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, দিনটা ছিল ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। পাতিপুকুরে রেললাইনের ধার থেকে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর শুনে, কাঁদতে কাঁদতে ‘ইনসাফ’ চেয়েছিলেন কড়েয়ার রিজওয়ানুর রহমানের মা। পাশে দাঁড়ান মমতা। সহানুভূতির সেই হাত আজও একইরকম আছে, সেটাই আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল এদিন।