মোদী জমানার শুরু থেকেই দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করে আসছে, স্কুলশিক্ষায় গৈরিকীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার। ধর্মীয় মেরুকরণ এবং কেন্দ্র-সহ বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষায় হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে। সেই অভিযোগ যে মোটেই ভ্রান্ত নয়, এবার ফের মিলল তার প্রমাণ। এবার বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের স্কুলে পড়ানো হবে ভগবৎ গীতা ও রামায়ণ! এমনটাই জানিয়েছেন সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ধন সিং রাওয়াত। শুধু তাই নয়, স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হবে বেদও। এছাড়া, রাজ্যের ইতিহাস নিয়ে সিলেবাসে আরও বিস্তারিত তথ্য থাকবে বলে খবর।
সোমবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ধন সিং রাওয়াত বলেন, ‘আমরা প্রথম রাজ্য হিসেবে এই বছর জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করতে চলেছি। জনতা এবং শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নিয়ে আমরা পাঠ্যক্রমে গীতা, রামায়ণ ও বেদ অন্তর্ভুক্ত করেছি।’ কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির প্রশংসা করে উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে সিলেবাসের চল্লিশ শতাংশ বিষয় নির্ধারণের স্বাধীনতা রাজ্যগুলির হতে থাকছে। একইসঙ্গে। ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকেও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে স্কুলের পাঠ্যক্রমে ভগবত গীতাকে যুক্ত করে গুজরাত। মোদী রাজ্যে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসের অংশ হিসাবে পড়ানো হবে ধর্মগ্রন্থটি। গুজরাত সরকারের যুক্তি পড়ুয়াদের গীতা পড়ানো হলে, তাঁরা ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি সম্পর্ক ওয়াকিবহাল হবে। ভারতীয় সমাজব্যবস্থা এবং সামাজিক আদর্শ ছোটবেলা থেকেই আত্মস্থ করতে পারবে। একইপথে হাঁটছে আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটকও। স্বাভাবিকভাবেই, পাঠ্যক্রমে গীতা ও রামায়ণের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, শিক্ষার গৈরিকীকরণ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সিলেবাসে বদল ঘটানোর নেপথ্যে রয়েছে হিন্দুত্ববাদের এজেন্ডা।