এবার বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। আরএসএসের অভিযোগ, ভোট আসলেই তাদের ব্যবহার করে বিজেপি। তাদের বলা হয়, আরএসএস বা সংঘ পরিবার থেকে ভোটে খাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ ভোট মিটতেই তাদের নানা ভাবে হেনস্থা করে বিজেপি কর্মীরা। এমনকী মারধরও করা হয়। সংঘ পরিবারের নেতৃত্বকে কাছে পেয়েই এভাবেই অসন্তোষ উগরে দিলেন সঙ্ঘেরই অনেক সক্রিয় সদস্য। এদের মধ্যে নিয়মিত আরএসএসের ক্যাম্পে যোগ দেন, এমনও অনেকে রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই বিক্ষোভের ফলে প্রশ্ন উঠেছে আরএসএস এবং বিজেপির সমন্বয় নিয়ে।
উল্লেখ্য, গোঘাটের কুমুরশায় দিনকয়েক আগে শিশু মন্দিরে আরএসএসের ক্ষেত্রীয় প্রচারক রমাপদ পাল এবং প্রান্ত প্রচারক কৃষ্ণ মণ্ডল আসেন। সেই খবর পেতেই সেখানে জড়ো হন আরএসএস কর্মীরা। তাঁদের সামনেই আরএসএস-এর তৃতীয় বর্ষের ক্যাম্প করে আসা দেবাশিস বেজের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁদের ব্যবহার করেছিল। বলা হয়েছিল, নির্বাচনে খাটতে হবে বলে সংঘ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ ফল প্রকাশের দিনই আরএসএস কর্মীদের চরম হেনস্থা করা হয়। মারধরও করা হয় তাঁদের। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, আরএসএস কর্মীরা নিজেদের স্বার্থে ভোটের কাজ করতে এসেছেন। দেবাশিস বলেন, আমরা আপনাদের কাছে জানতে চাই, স্থানীয় বিজেপি নেতারা এ ধরনের কথা কেন বলা হল তার কৈফিয়ত চাইতে এসেছি।
উল্লেখ্য, দেবাশিস-সহ আরও অনেক আরএসএস কর্মীকে সংঘের ক্ষেত্রীয় প্রচারক এবং প্রান্ত প্রচারকদের উদ্দেশে রীতিমতো আঙুল তুলে কথা বলতে দেখা যায়। ওই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেক মহিলাও ছিল। স্থানীয় একাধিক বিজেপি নেতার নাম করে ওই আরএসএস কর্মীরা বলেন, এঁরা দিনের পরদিন আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে চলেছে। বার বার বলা সত্ত্বেও আপনারা কোনও ব্যবস্থা নেননি। সংঘের প্রচারকরা আর এরকম হবে না আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সোমবার ভাইরাল হয়েছে।