এবার শাসকশিবিরের অন্দরেই ভেসে উঠল ভিন্ন সুর। স্বভাবতই চাপে গেরুয়াশিবির। প্রসঙগত, ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার বাজানো নিয়ে বিতর্কে বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের থেকে ভিন্ন সুরে কথা বলছেন নীতীশ কুমার। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র শরিক তিনি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন যেভাবে সক্রিয় হয়ে ধর্মস্থানে লাউডস্পিকার বাজানোর বিরোধিতায় সরব, সেই রাস্তায় না হাঁটার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন বিহারে মুখ্যমন্ত্রী। নিজের রাজ্যে বিজেপি নেতাদের মন্দির, মসজিদে লাউডস্পিকার না বাজানোর দাবি কার্যত খারিজ করে দিলেন নীতীশ। যোগী সরকার ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য শব্দদূষণ বন্ধ করার যুক্তি সামনে রেখে মন্দির, মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার খুলে নেওয়ার কর্মসূচী নিয়েছে। রাজ্যের কয়েক হাজার ধর্মস্থান থেকে লাউডস্পিকার হয় সরানো বা তার শব্দের মাত্রা আগের চেয়ে অনেক কমানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের এই ‘যোগী মডেল’ মেনে স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য একই পদক্ষেপ বিহারেও পালন করা হোক, দাবি তুলেছেন রাজ্যের বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু নীতীশের বক্তব্য, তিনি কোনও ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবেন না।
প্রসঙ্গত, শনিবার পূর্ণিয়ায় এক অনুষ্ঠানে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নীতীশ বড় শরিকের দাবি রীতিমতো কটাক্ষের সুরে খারিজ করে বলেন, “এসব ননসেন্স। এ নিয়ে কথা না বলাই ভাল। এটা সকলেরই জানা যে, বিহারে আমরা কোনও ধরনের ধর্মীয় আচার-রীতি পালনেই হস্তক্ষেপ করি না। কিছু লোক অবশ্য ভাবে, এ নিয়ে শোরগোল করা ভাল। সেটাই তারা করে।” বিহারে নীতীশের মন্ত্রিসভার সদস্য জনক রামের মতো বিজেপি নেতা শুক্রবার দাবি করেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে উত্তরপ্রদেশে যেভাবে লাউডস্পিকার বন্ধ করার অভিযান চলছে, বিহারে তার প্রভাব পড়বেই। কিন্তু নীতীশ বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এমন হতে দেবেন না। মন্দির, মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহারই একমাত্র ইস্যু নয়, অতীতেও বিভিন্ন প্রশ্নে বিজেপি জোটে থেকেও গেরুয়াশিবিরের একেবারে ভিন্ন অবস্থানে অটল থেকে নিজেদের স্বকীয় চরিত্র বজায় রাখার চেষ্টা করেছে নীতীশের দল।