এ যেন মগের মুলুক! দিন দশেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতের কান্দলা বন্দর থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় দাড়ে চোদ্দ’শ কোটি টাকার হেরোইন! তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের প্রায় ৯০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার হল সেখানে। গুজরাত বন্দর দিয়ে ওই হেরোইন পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল, যার বাজার দর ৪৫০ কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ফের মুখ পুড়েছে মোদী-শাহদের।
প্রসঙ্গত, মাদক পাচারের নানা অভিনব কায়দা ইদানীংকালে সামনে এসেছে। তবে এই বিপুল পরিমানে হেরোইন যে কৌশলে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল তা দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী অফিসারদের। এটিএসের অফিসাররা বলছেন, খালি চোখে দেখলে ধরা অসম্ভব। বান্ডিল বান্ডিল সুতোর মধ্যে মেশানো ছিল হেরোইন। গুজরাতের পিপাভাব বন্দরের একটি শিপিং কন্টেনারে সুতোর বান্ডিলেই ছিল কোটি কোটি টাকার হেরোইন। জানা গেছে, ইরান থেকে এসেছিল ওই কন্টেনার।
গুজরাতের ডিজিপি আশিষ ভাটিয়া জানান, হেরোইনের মিশ্রণে চোবানো সুতোর বান্ডিলগুলো শুকিয়ে প্যাকিং ব্যাগে ভরে পাচার করা হচ্ছিল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, সুতোর ব্যাগগুলো পাঁচ মাস আগে পিপাভাব বন্দরে আসে। সেগুলো ওজন করার সময়েই সত্যিটা সামনে আসে। মাত্র চারটে ব্যাগের ওজন ছিল ৩৯৫ কেজি। তাতেই সন্দেহ হয়। পরীক্ষা করে সুতোর মধ্যে মাখানো হেরোইনের খোঁজ মেলে। ওই বান্ডিলগুলো থেকে ৯০ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে যার বাজারদর ৪৫০ কোটি টাকা।
এর আগে গুজরাতের কান্দলা বন্দর সংলগ্ন এলাকায় এক কন্টেনার থেকে ২০৫.৬ কেজির হেরোইন পেয়েছিলেন ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের সদস্যরা। যার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ১ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছিল, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে ইরান থেকে গুজরাতের কান্দলা বন্দরে মোট ১৭টি মালবোঝাই কন্টেনার এসেছিল। তার মধ্যে থেকে একটিতে ছিল ওই মাদক। এই মাদক উদ্ধারের কথা গত ২১ এপ্রিল জানিয়েছিল গুজরাতের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড।