১২ দিন ধরে যমে-মানুষে লড়াইয়ের পর গত সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে মৃত্যু হয় ময়নাগুড়িতে নির্যাতিতা নাবালিকার। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে মৃতের বাবা জানিয়েছেন, মেয়ের মৃত্যু শোকে সেদিন তাঁর মাথার ঠিক ছিল না। কিন্তু এখন তাঁর মনে হচ্ছে পুলিশি তদন্তই ঠিক আছে। পুলিশি তদন্তে তিনি ‘খুশি’। সিবিআই তদন্ত আর চাই না।
নির্যাতিতার বাবা এদিন আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে মারা যাওয়ার সময়ে বলে গিয়েছিল, বাবা আমার উপর যারা অত্যাচার করেছিল, তাদের যেন ফাঁসি হয়। তুই দেখিস বাবা। আমিও পুলিশকে বলেছি, অভিযুক্তদের ফাঁসি হলে মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।’
নির্যাতিতার বাবা হঠাৎ করে এরকম মন বদল করায় অনেকে ভ্রূকুটি করছে। তবে এটা ঠিক, যে ময়নাগুড়ি কাণ্ডে অভিযুক্ত চার জনকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে খুব কম সময়ের মধ্যে প্রথমে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। সেদিক থেকে এই কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা এখনও পর্যন্ত সদর্থক বলে মনে করছে অনেকেই। তাঁদের মতে, হাঁসখালির ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশি তদন্তে ফারাক স্পষ্ট।