আসন্ন এএফসি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালই পাখির চোখ এটিকে মোহনবাগানের। সেই লক্ষ্যেই প্রতিযোগিতার পরের তিনটি ম্যাচ খেলবে সবুজ-মেরুন শিবির। যোগ্যতাঅর্জন পর্বের দু’টি ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী কোচ জুয়ান ফেরান্দো। জয়ের ছন্দ ধরে রাখতে চান মোহনবাগান কোচ। প্লে এফ পর্বে বাংলাদেশের আবাহনী ম্যাচ জেতার পর ফুটবলারদের কয়েক দিনের ছুটি দিয়েছিলেন ফেরান্দো। মঙ্গলবার থেকে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। রয় কৃষ্ণ ছাড়া বাকি ২৭ জন ফুটবলারকে নিয়ে যুবভারতীতে শুরু হল অনুশীলন। পারিবারিক সমস্যা কাটিয়ে কয়েক দিন পর দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ফিজির স্ট্রাইকার।
উল্লেখ্য, প্রথম দিন প্রায় দু’ঘণ্টার অনুশীলনে ফুটবলারদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতেই গুরুত্ব দিলেন ফেরান্দো। প্রীতম কোটাল, অমরিন্দর সিংহ, জনি কাউকোদের নিয়ে ফর্মেশন তৈরির কাজও শুরু করলেন স্প্যানিশ কোচ। গ্রুপ পর্বে মোহনবাগানের খেলা ১৮ই মে গোকুলাম এফসি, ২১শে মে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস এবং ২৪শে মে মলদ্বীপের মেজিয়া এস আর-এর বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই তিন দলের খেলার ভিডিয়ো দেখেছেন ফেরান্দো। সেই মতোই পরিকল্পনা করছেন তিনি। ফেরান্দো বলেছেন, “গোকুলাম টানা ১৮ ম্যাচ অপরাজিত। আই লিগে ওদের দু’টি ম্যাচ দেখেছি। ওরা খেলার মধ্যেই রয়েছে আমাদের মতো। বিদেশি দু’টি দলও বেশ শক্তিশালী। প্রথম ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপাতত গোকুলাম ম্যাচ নিয়েই ভাবছি।”
বসুন্ধরার দু’টি এবং এবং মেজিয়ার চারটি ম্যাচ দেখেছেন ফেরান্দো। বসুন্ধরার আরও কয়েকটি খেলা দেখতে চান তিনি। বাংলাদেশের সেরা দলের বিরুদ্ধে জিততে হলে তাঁর ছেলেদেরও সেরা খেলাটাই খেলতে হবে বলে মনে করেন তিনি। মেজিয়া সম্পর্কে বলেছেন, “ওদের বিদেশিরা বেশ শক্তিশালী। দলটা একই গতিতে ওঠা-নামা করে। উইং দিয়ে আক্রমণ করে। রক্ষণ বেশ ভাল। আমাদের ভাল প্রস্তুতি নিয়েই ওদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে।” প্রথম দু’টি ম্যাচ হবে য়ুবভারতীতে বিকাল পাঁচটায়। শেষ ম্যাচটি যুবভারতীতেই রাত ন’টায়। মঙ্গলবারই ফেডারেশন এবং স্টেডিয়ামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুবভারতীর পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করল এএফসি-র প্রতিনিধি দল।