আগুনের হল্কা ছুটছে বাইরে। ঘর থেকে বাইরে পা রাখতে হবে ভাবলেই মাথায় ভেঙে পড়ছে আকাশ
কিন্তু জীবনের যাপনের তাগিদে বা পেটের টানে বাইরে তো যেতেই হচ্ছে। রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন অনেকে। কিন্তু ওদিকে অফিস কলেজ সমস্ত খুলে গেছে। তবে খুব বেশি দরকার না থাকলে বাইরে না বেরনোই ভাল।
কিন্তু প্রয়োজনে? প্রয়োজনে তো বাড়ির বাইরে পা রাখতেই হবে। এই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে তা কীভাবে সম্ভব? কী উপায়? প্রায় গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই চলছে এই অবস্থায়। এবার রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে প্রত্যেকটি জেলাকে সতর্ক করা হল৷ জেনে নিন উপায়।
তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কী করণীয়, কী করণীয় নয়, তার উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের তরফে লিফলেটও ছাপানো হয়েছে৷ বিভিন্ন জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য সেই লিফলেট পাঠানো হচ্ছে৷ পাশাপাশি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেও কী করণীয়, তাও জানানো হয়েছে লিফলেটে৷
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কী কী পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার-
তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে কী করণীয়:
দিনের বেলা বাইরে বেরোলে হাল্কা রংয়ের, ঢিলেঢলা পোশাক পরুন৷ টুপি বা কাপড়, তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে৷ সঙ্গে ছাতা রাখুন, পায়ে জুতো অথবা চটি পরে তবেই বাইরে বেরোন৷ হাল্কা এবং জলীয় অংশ আছে যেমন তরমুজ, শশার মতো ফল বেশি করে খেতে হবে৷ বাড়িতে তৈরি লেবুজলের মতো পানীয় পান করুন৷ দই, ঘোল শরবত খান।
গৃহপালিত পশুদের ছায়ায় রাখুন, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ান৷ স্থানীয় আবহাওয়ার বার্তার দিকে খেয়াল রাখুন৷ অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক অথবা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিন৷
কী করবেন না:
যতদূর সম্ভব প্রখর সূর্যালোকে না বেরনোর চেষ্টা করুন৷ খুব পরিশ্রমসাধ্য, দিনের বেলা এমন কাজ না করাই ভাল৷ দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে শিশু ও গৃহপালিত পশুদের রাখবেন না৷ বেশি প্রোটিনযুক্ত বা মশলাদার খাবার খাবেন না৷
হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে কী করবেন?
আক্রান্তকে সঙ্গে সঙ্গে ঘরের ভিতরে বা ছায়া রয়েছে এমন ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান৷ ভিজে কাপড় দিয়ে সারা শরীর মুছিয়ে দিন৷ লবণ জল, নুন- চিনির জল, ওআরএস খাওয়াতে থাকুন৷ তবে সম্পূর্ণ
জ্ঞান ফেরার পরই খাবার বা জল দেওয়া যাবে আক্রান্তকে৷ অবস্থার উন্নতি না হলে আক্রান্তকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে৷