এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে ‘দাদু’ বলে কটাক্ষ করলেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি হাওড়া পুরসভায় ভোট না হওয়ার জন্য রাজ্যপালকেই দায়ী করলেন তিনি। রবিবার উত্তর হাওড়ায় তৃণমূলের একটি কর্মী সম্মেলনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ। সেখানে তিনি বলেন, “ওই দাদুর জন্যই হাওড়া পুরসভার ভোট আটকে রয়েছে। না হলে কলকাতা পুরসভার সঙ্গেই হাওড়া পুরসভার ভোট হয়ে যেত। রাজ্যপাল হাওড়া ও বালি পুরসভাকে আলাদা করা নিয়ে রাজ্য সরকারের ফাইলটি আটকে রেখেছেন বলেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।” তবে খুব শীঘ্রই এর সমাধান হবে বলে আশাবাদী ফিরহাদ। তিনি আরও বলেন, “রাজ্যপাল ফাইলটিতে যাতে সই করেন সেজন্য আমি তাঁর কাছে আগে ২ থেকে ৩ বার গিয়েছি। এখন আবার আমাকে ডেকেছেন উনি। এবার আমি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করে ওঁনার কাছে যাব। এবার গেলে হয়তো উনি ফাইলটি সই করে ছেড়ে দেবেন। কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’”
পাশাপাশি, এদিন উত্তর হাওড়ায় কর্মীদের উদ্দেশে ফিরহাদ জানান, “হাওড়া পুরসভায় যা কাজ হয়েছে, তাতে এখানে এমনিই তৃণমূল জিতে যাবে। কিন্তু তৃণমূলের মূল লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন।” এদিন বুথ ভিত্তিক সম্মেলনে কর্মীদের কাছে তা স্পষ্ট করে দেন ফিরহাদ। বিজেপির নাম না করে তাদের উদ্দেশ্যে তাঁর কটাক্ষ, “২০২৪-এও খেলা হবে। এই যে ১৮টা সিট ওরা পেয়েছে, এবার ১ টা সিটও ওরা আর বাংলা থেকে পাবে না। তৃণমূল এগিয়ে যাবে। এখানে মানুষ কী চাইছে তার একটা রিপোর্ট তৈরি করে নেত্রীকে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী ২০২৪-এ ভোটের ময়দানে লড়াই করবে তৃণমূল।” ফিরহাদের কথায়, “নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস বলেছিলেন, দিল্লী চলো। বাংলা থেকে আমরা দিল্লী যেতে পারিনি। আমরা এবার সুযোগ পেয়েছি। এবার আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব দিল্লী চলো।”