বিজেপি-র সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বৃদ্ধি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল৷ এরই মধ্যে আরজেডি নেতা ও লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদবের দেওয়া ইফতার পার্টিতে হাজির হয়ে জল্পনা আরও বাড়ালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমার৷
কয়েকদিন আগেই বোচরণ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে আরজেডি৷ তার পর পরই এই ইফতার পার্টির আয়োজন করেন তেজস্বী৷ নীতিশ কুমার ছাড়াও বিজেপি নেতা শাহনাওয়াজ হুসেন, লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসওয়ান, তেজস্বীর ভাই ও বোন তেজপ্রতাপ সিং ও মিসা যাদব এবং মা রাবড়ি দেবী এই ইফতার পার্টিতে অংশ নেন৷
২০১৭ সালে মহাজোট ভেঙে আরজেডি-র সঙ্গ ত্যাগ করেছিলেন নীতিশ কুমার৷ হাত ধরেছিলেন বিজেপি-র৷ তখন থেকেই লালু প্রসাদের পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছয়৷ সেই ঘটনার পাঁচ বছর পর শুক্রবার তেজস্বীর বাড়িতে পা রাখলেন তিনি৷ শুক্রবার নিজের বাসভবনের অদূরেই রাবড়ি দেবীর বাড়িতে পৌঁছে যান নীতিশ৷
২০২০-র বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৪৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ৷ ৭৪টি আসনে জয়ী হয় জেডিইউ-এর জোট সঙ্গী বিজেপি৷ কিন্তু প্রাক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে নীতিশ কুমারকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেয় গেরুয়া শিবির৷ কিন্তু গত বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, নীতিশ কুমারের জন্য দিল্লিতে সম্মানজনক পুনর্বাসনে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব৷
এমন কি, নীতিশ নিজেও নাকি রাজ্যসভার সাংসদ হতে ইচ্ছুক৷ শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবেও তাঁর নাম উঠে আসছে৷ এমন কি, বিহারের বেশ কিছু বিজেপি বিধায়কও নাকি চাইছেন যে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিন নীতিশ কুমার৷ এই পরিস্থিতিতে তেজস্বী যাদবের ইফতার পার্টিতে হাজিরা দিয়ে নীতিশ কুমার বিজেপি নেতৃত্বকেই কোনও বার্তা দিলেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে৷ তার উপরে, আজই বিহারে পৌঁছনোর কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের৷