বেআইনি গরু পাচারকাণ্ডে প্রাক্তন বিএসএফ কম্যান্ডান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করল ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে গরু পাচারকারীদের থেকে ১২ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার তাঁকে দিল্লির দফতরে ডেকে প্রায় ৮ ঘণ্টা জেরা করে ইডি। তারপরই গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তকারীদের দাবি, সতীশ কুমারের বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে যা সন্দেহের উদ্রেক করে। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। অবশ্য শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে যান তিনি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারে জড়িত সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশ এবং বেআইনিভাবে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে সতীশ কুমারের বিরুদ্ধে।
তবে গরু পাচারকাণ্ডে প্রথম কোনও রাঘববোয়ালকে গ্রেফতার করা হল। বেআইনি গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের শুরু থেকেই বিএসএফ কমান্ডার সতীশ মিশ্র ও তাঁর আরও কিছু অধস্তন অফিসার জড়িত থাকার কথা উঠছে। একই ভাবে বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে ইস্টার্ন কোলফিল্ডের কিছু অফিসার ও কয়েক জন রেলের অফিসারের নামে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৭ মার্চ পর্যন্ত মালদা এবং মুর্শিদাবাদে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৬টি ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন সতীশ কুমার। সেই সময় তিনি মালদার ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডান্ট ছিলেন। তখন পাচারের সময় ২০ হাজার গরু সীমান্তরক্ষী বাহিনী ধরেছিল। পরে সেগুলি নিলাম করা হয়। এতে গরুপিছু ২ হাজার টাকা করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং কাস্টমস ৫০০ টাকা করে পেয়েছিল।