বাংলার উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ সর্বোচ্চ। তার মধ্যে লক্ষ্মী হল ভান্ডার অন্যতম। মহিলাদের স্বাবলম্বী করার জন্য ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ওই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা দেওয়া শুরু হল। এদিনই হাতে চেক পেলেন দিঘার দেড় হাজার আবেদনকারী। বুধবার একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই টাকা তুলে দেওয়া হয় দিঘার মহিলাদের হাতে। যার জেরে ভীষন খুশি টাকা প্রাপকরা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার শুরু হল বুধবার। দিঘায় জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে হাতে চেক পেলেন দেড় হাজার আবেদনকারী। লক্ষাধিক আবেদনকারীর অর্থ শীঘ্রই অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের শাসক দলের তরফে ঘোষনা করা হয়েছিল যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী প্রথম ধাপে আবেদনকারীরা সেই অর্থ পেলেও অনেকেই বাকি ছিল।
বুধবার সেই সমস্যাও মিটল। বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ের হাজার হাজার উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিয়েছেন।
সেইসব আবেদনগুলিকে প্রথমে যাচাই করে দেখা হয়েছে। নিয়মগত ত্রুটির কারণে সেইসব আবেদনগুলি বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে যাঁদের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে তাঁরা আজ ভীষণ খুশি।
মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “আমাদের সরকার কথা দিলে কথা রাখেন। তারই প্রমান বাংলা জনগন দেখতে পাচ্ছে। আমরা বাংলার সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে বাংলার উন্নয়ন ঘটাতে চাই।”
এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২০ হাজার উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা ঢোকার কথা। এই উপলক্ষ্যে বুধবার দিঘায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি সহ স্থানীয় প্রশাসনিক ও জনপ্রতিনিধিরা। এদিনের সভামঞ্চ থেকে ১৫০০ জনের হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের চেক তুলে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে এক লাখ তিন হাজার ৬৩৩ জন আবেদনকারী আছেন। যার মধ্যে এক হাজার ৪৫১টি আবেদন বাতিল হয়েছে। বাকিদের আবেদন সরকারি অনুমোদন পেয়েছে। সেক্ষেত্রে সকলের অ্যাকাউন্টেই খুব শীঘ্র বরাদ্দ অর্থ ঢুকে যাবে। ওই জেলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা সংখ্যা বেড়ে মোট ১১ লাখ ৩২ হাজার হয়েছে।
রামনগর-২ ব্লকে সবচেয়ে বেশি আবেদন না-মঞ্জুর করা হয়েছে। ওই এলাকার ২০১টি আবেদন খারিজ করা হয়েছে। পাঁশকুড়া ব্লকের ১৬৫টি আবেদন বাতিল হয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকারি চাকরিরত মহিলারাও ওই আবেদন করেছেন। আর সেই কারণেই বাতিল করা হয়েছে তাঁদের আবেদন।
এছাড়াও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক ভাতা পাওয়া বেশ কয়েকজন অন্য ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে দ্বিতীয়বার আবেদন করেছেন।