আজকাল খবরে চোখ রাখলেই দেখা যাবে, ছেয়ে গেছে অপহরণের ঘটনা। তেমনই আরও এক অপহরণের ঘটনায় ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশের পরিচয় দিয়ে ফের কলকাতায় ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে অপহরণ। তবে কলকাতা পুলিশের তৎপরতা ও সক্রিয়তায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মুক্তিপণ বাবদ চাওয়া হয়েছিল ৪০ লক্ষ টাকা। সেই টাকা দেওয়ার নাম করেই ফাঁদ পেতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। টালিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ জন।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দক্ষিণ কলকাতার কসবার নামী শপিং মলের সামনে থেকে শেখ কুতুবউদ্দিন গাজি নামে ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। তারা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। কসবা অঞ্চলের একটি শপিং মলে গিয়েছিলেন বসিরহাটের ইটভাঁটার মালিক শেখ কুতুবউদ্দিন।
তিনি বাইরে বের হওয়ার পরই রাসবিহারী কানেক্টর দিয়ে একটি গাড়ি আসে। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, ব্যবসায়ী নিজের গাড়িতে ওঠার আগেই তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে অন্য গাড়িটিতে তোলা হয়। এরপর সেই গাড়ি প্রচণ্ড দ্রুতবেগে বেরিয়ে যায়।
এরপর পরিচয় গোপন রেখে মুক্তিপণের ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করে পুলিশ। একটি নির্দিষ্ট জায়গার কথা উল্লেখ করে সেখানে টাকা নেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। সেই ফাঁদে পা দিয়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অপহরণকারীরা। এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর।
পরিবারের দাবি, রাতে তাঁর পরিজনদের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। মুক্তিপণের অঙ্ক বাবদ ৪০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। ফোন করে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। এরপর পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। কুতুবউদ্দিনের ব্যবসায়িক সঙ্গী রেহান আহমেদ কুরেশি কসবা থানায় গিয়ে সমস্ত ঘটনা জানান। কসবার নামী এলাকা থেকে এভাবে ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে অপহরণের ঘটনা কিনারা করতে রাতেই তৎপরতা শুরু হয়ে যায় লালবাজারে।
পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল নিজে অপারেশনের ব্লুপ্রিন্ট ছকে দেন। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মা ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। অন্তত ৫০ টি ফুটেজ দেখা হয়। দুষ্কৃতীদের চালচলন সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে অপারেশনে নামেন তদন্তকারীরা। দেখা যায়, তারা টালিগঞ্জের দিকে গিয়েছে।