একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ভরাডুবির পর থেকেই যেন শনির দশা চলছে গেরুয়া শিবিরের। বাংলায় একের পর এক উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে তারা। সম্প্রতি বালিগঞ্জ ও আসানসোল— দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই রীতিমতো গোহারা হেরেছে বিজেপি। অন্যদিকে, শাসক দলের সাফল্য তাক লাগানো। এই প্রথম আসানসোল লোকসভায় ঘাসফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছে দল। স্বাভাবিক ভাবেই এই জয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তৃণমূলের হয়ে আসানসোলে যিনি বিজেপিকে ‘খামোশ’ করে দিলেন, সেই শত্রুঘ্ন সিনহাও ভাসছেন খুশির জোয়ারে। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের একটি সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘বিহারবাবু’ বলেন, ‘এখানে যা পেলাম আমি, মানুষের আশীর্বাদে পুনর্জন্ম হল আমার।’
দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহা ফুটবল মাঠে বুধবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয় ইফতার পার্টি। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান ছিল সম্বর্ধনার। সেখানে সম্মান জানানো হয় শত্রুঘ্নকে। তিনি বলেন, ‘যতবারই সাংসদ হয়েছি মানুষের সেবার জন্য হয়েছি। মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি, কোনও দিন উপার্জন করিনি। আমার চরিত্রে কোনও দাগ নেই।’ সার্বিকভাবে আসানসোলের মানুষের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এদিকে, আসানসোলের ফলের পরই টুইট করে আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের লাভ পেয়েছে রাজ্যবাসী তাই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে আসানসোলের নবনির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘আমি বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ধন্যবাদ জানাই। আমি কোন বিজেপি নেতা-নেত্রীর নাম না করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পকে মানুষের কাছে তুলে ধরেছি। তাই মানুষ দু’হাত তুলে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই।’