বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিরোধীদের চুপ করাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি-পুলিশ লেলিয়ে দেয় বিজেপি। বারবারই এই অভিযোগ করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বারবারই মিলেছে তার প্রমাণ। এবার যেমন গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে আচমকাই গ্রেফতার দলিত নেতা তথা গুজরাতের বিধায়ক জিগ্নেশ মেওয়ানি। গ্রেফতারির কারণ এখনও নিশ্চিত নয়। বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ গুজরাতের পালানপুর সার্কিট হাউজ থেকে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় আসাম পুলিশ। রাতেই তরুণ দলিত নেতাকে আহমেদাবাদ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ট্রেনে চাপিয়ে জিগ্নেশকে আজ অর্থাৎ বূহস্পতিবার সকালে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর।
বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়া এই তরুণ তুর্কি বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় সরকার, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-সহ একাধিক ধর্মীয় কট্টরপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। অভিযোগ, সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক একাধিক টুইট করেছিলেন জিগ্নেশ। অভিযোগ পেয়ে তাঁর সেই সমস্ত টুইট মুছেও দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। সেই টুইটের জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারির কারণ এখনও জানানো হয়নি। এমনকী, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের কপিও জিগ্নেশের পরিবারকে দেয়নি আসাম পুলিশ। ইতিমধ্যেই জিগ্নেশের গ্রেফতারিতে সরব হয়েছেন কানহাইয়া কুমার, স্বরা ভাস্কররা। টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। চলতি বছরের শেষেই গুজরাতের নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেসকে সমর্থনকারী ভাদগামের এই দলিত বিধায়ককে গ্রেফতারির পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছেন তাঁরা।