প্রায়শই অভিযোগ ওঠে যে তদন্তের নামে শিল্পসংস্থাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। তা ছাড়া তৃণমূল-শিবসেনার মতো রাজনৈতিক দলের অভিযোগ, মোদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করছে। বুধবার রাজ্যের শিল্প সম্মেলন তথা বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বক্তৃতার একেবারে শেষে রাজ্যপালের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপাল স্যার, আপনার মাধ্যমে একটা কথা বলতে চাই। কিছু মনে করবেন না। মহামান্য রাজ্যপাল সমস্ত শিল্পসংস্থার তরফে আপনাকে একটা কথা বলছি। আমরা কেন্দ্রের সরকারের থেকে সমস্ত সাহায্য পেতে চাই। আর রাজ্যপালদের কনফারেন্সে একটা কথা অবশ্যই বলবেন প্লিজ, শিল্পপতিদের যেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরক্ত করা না হয়’।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সুযোগ ছিল না রাজ্যপালের। তবে ভাষণ শেষে দু’জনে সৌজন্য বিনিময় করেন। তা ছাড়া বুধবার সকালে শিল্প সম্মেলন শুরুও হয়েছিল সৌজন্যের আবহে, সহযোগিতার বার্তা দিয়ে। সবাইকে চমকে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের উদ্বোধন করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে দিয়ে।
মমতার এই সিদ্ধান্তের মর্যাদা দেন রাজ্যপালও। রাজ্যপাল বক্তৃতায় বারেবারেই মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিকতা, উন্নয়নে তাঁর উদ্যম, নেতৃত্ব ইত্যাদির কথা উল্লেখ করেছেন। রাজ্যপালের সেই ভাষণের প্রশংসা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মুখেও। কিন্তু তা বলে পারস্পরিক খোঁচা দেওয়াও বাকি থাকল না। এদিনের বক্তৃতায় রাজ্যপাল বলেছেন, ‘বিনিয়োগের অন্যতম কিছু শর্ত রয়েছে। যেখানে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা থাকে, দায়িত্বশীল ও স্বচ্ছ প্রশাসন থাকে এবং আইনের শাসন বজায় থাকে, সেই জায়গা সব সময়েই বিনিয়োগের পক্ষে সহযোগী।’