বিশ্ব বাংলা শিল্প সম্মেলন থেকে রাজ্য কোন কোন বিষয়কে তুলে ধরতে চাইছে? ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পাশাপাশি রাজ্যের লক্ষ্য বিপুল বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান। অবশ্যই বৃহৎ শিল্পের হাত ধরে রাজ্যে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ঘটানো। তাই আজকের এই শিল্প সম্মেলন থেকে ৬টি বিষয়কে তুলে ধরতে পারে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের লক্ষ্য, শিল্প মানচিত্রে উত্তরবঙ্গে আরও বেশি বিনিয়োগ। যে কারণে শিলিগুড়ির কাছে গাড়িধুরায় একটি তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক গড়ে তোলা। এখানে রাজ্যের হাতে রয়েছে ১২ একর জমি। সেই জমিতেই গড়ে তোলা হবে পরিকাঠামো। এই পার্ক তৈরি হয়ে গেলে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া শিলিগুড়ির কাছে ডাবগ্রামে গড়ে তোলা হবে একটি ক্ষুদ্রশিল্প পার্ক। যেখানে আছে প্রায় ৩০ একর জমি।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেও গত মাসের পাহাড় সফরে গিয়ে উত্তরবঙ্গের শিল্প পরিকাঠামো নিয়ে কথা বলেছিলেন। অন্যদিকে রাজ্য চাইছে কৃষি ক্ষেত্রেও সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে। বিপণনযোগ্য শস্য চাষের বৃদ্ধি হোক চাইছে রাজ্য। হুগলি, নদীয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, মালদহ, দার্জিলিং-কালিম্পং মিলিয়ে একাধিক জায়গায় রয়েছে উর্বর জমি। প্রায় ১২’টি খামারে ৪০০ একর জমি রয়েছে। এখানে চাষ করে রফতানি বাড়াতে পারলে একদিকে যেমন লাভ হবে প্রান্তিক চাষীদের। তেমনই লাভ হবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের। তাই এই শিল্প সম্মেলনে নজর দেওয়া হচ্ছে বিকল্প চাষ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের দিকে।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিশেষ একটা লিফলেট তৈরি করেছে রাজ্য কৃষি দফতর। তবে শিল্প সম্মেলন শুরুর দিনেই সিঙ্গুর যাচ্ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সিঙ্গুরের খাসের ভেড়ি এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। অন্যদিকে এবারের শিল্প সম্মেলনে রাজ্যের অন্যতম ফোকাস যে স্থানে সেই ডেউচা পাচামিতে আজ যাচ্ছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিধায়কদের সেই দলে নেতৃত্ব দেবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে রাজ্য আজ বৃহৎ শিল্পের পাশাপাশি পর্যটন, পরিবহণ পরিকাঠামো-সহ একাধিক ক্ষেত্রেও বাংলাকে তুলে ধরতে চাইছে।