এবার উত্তর দিল্লী পুরনিগমের উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জাহাঙ্গিরপুরীর বাঙালি মুসলিম মহিলারা। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া লাগোয়া এলাকায় আদি বাড়ি ওই মহিলাদের। বুধবারের উচ্ছেদ অভিযানের পর ক্ষোভের সুরে তাঁদের আক্ষেপ, ‘বাংলায় কথা বলি মানে আমরা বাংলাদেশি হয়ে গেলাম? এখানে আমরা প্রথম থেকে আছি।’ কেউ কেউ আবার বললেন, ‘শহিদ হয়ে যাব আমরা।’
উল্লেখ্য, বেআইনি নির্মাণ ভাঙার জন্য এদিন ওই এলাকায় বুলডোজার পাঠায় পুরনিগম। যদিও পরে উচ্ছেদ অভিযানে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ, তার পরেও চলে উচ্ছেদ অভিযান। এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভের সুরে বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে এখানে আমরা সকলে বাস করছি। হনুমান জয়ন্তীতে অশান্তির ঘটনার পর থেকে সবকিছু যেন এক লহমায় বদলে যেতে শুরু করল। হিন্দু হোক বা মুসলিম, সকলে মিলেমিশে ওই এলাকায় বাস করেন। উচ্ছেদ অভিযান যে করা হবে, সে নিয়ে আগাম কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি কেন, এ প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
আরেক স্থানীয় ব্যক্তি দাবি করেন, অশান্তি বাধানোটা একটা চক্রান্ত ছিল। তাঁর কথায়, বিনা কারণে এভাবে ভাঙা হল সবকিছু। বুলডোজারে ভাঙা পড়েছে এক মহিলার সাধের দোকান। ১৫ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস তাঁর। তিনি বলেন, আমার একটা দোকান ছিল। আগে কেউ বলেননি যে এটা বেআইনি। দুই দলের মধ্যে অশান্তির পরই এসব হচ্ছে। জাহাঙ্গিরপুরীর অন্য এক বাসিন্দা বলেছেন, আমরা ৫০ বছর ধরে এখানে রয়েছি। কোনটা বেআইনি? এলাকায় অশান্তি হয়েছে বলেই আজ এই উচ্ছেদ অভিযান করা হল। অন্যায় করা হল আমাদের সঙ্গে।
