দু’বছর পর ফের আয়োজিত হচ্ছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। হাজির ১৯টি দেশের ২৫০ জন প্রতিনিধি। মোট ৪২টি দেশ অংশ নিয়েছে এই সম্মেলনে। বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা। আজকের মতো শেষ হল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ফের আগামিকাল এই মঞ্চে হাজির হবেন রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা।
তবে দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করা হবে বলেও জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কনভেনশন সেন্টারেও রাজ্যপালকে খোঁচা মমতার। এজেন্সি দিয়ে যেন শিল্পপতিদের বিরক্ত না করা হয়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে কেন্দ্রের কাছে এই আরজি জানানোর অনুরোধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সম্মেলনে হাজির হওয়ার জন্য প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “আমরাই প্রথম রাজ্য যারা কোভিডের পর বাণিজ্য সম্মেলন করছি। আটটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলার উন্নয়ন।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সি প্রশংসা আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির মুখে। প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলায় শিল্পের উন্নতিতে অংশ নেবে আদানি গ্রুপ।
আদানির কথায়, “বাংলায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ। এতে অন্তত ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে।” পাশাপাশি হীরা নান্দানি গ্রুপও দেড় হাজার কোটির বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এগিয়ে চলেছে বাংলা। বাংলা পূর্ব ভারতের ইকনমিক হাব। মানব সম্পদেও এগিয়ে বাংলা। আশা করি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার হাত ধরে এ রাজ্যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ হবে।” তবে সঙ্গে এও বলেন, উন্নয়ন এবং রাজনীতি আলাদা হওয়া উচিৎ।
একই মঞ্চে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র-সহ বিশিষ্টরা। সম্মেলনে উপস্থিত নিরঞ্জন হীরা মান্দানি। দু’বছর পর ফের বাংলায় আয়োজিত হচ্ছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। নিউটাউনের বর্ণাঢ্য মঞ্চে হাজির বিভিন্ন প্রান্তের মোট ১৯টি দেশের ২৫০ জন প্রতিনিধি।
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে নজরে তাজপুর, দেউচা পাঁচামি, বিশেষ গুরুত্ব উত্তরবঙ্গকে। হতে পাবে আইটি পার্ক, টি ট্যুরিজম। নজরে পানাগড় খনিজ যন্ত্রাংশের কারখানা, বর্ধমানে ইস্পাতের কারখানা, বেলুড়ে লজিস্টিক হাবও।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফের শিল্পপতিদের আলাদা করে বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে। বাংলাকে শিল্প ও অর্থনীতির হাব তৈরিই লক্ষ্য, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন শিল্পপতি সজ্জন জিন্দাল। তিনি আরও জানান, মায়াপুরে ৭০০ একর জমিতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মন্দির তৈরি হতে চলেছে।
মঞ্চের জায়ান্ট স্ক্রিনে তুলে ধরা হল কন্যাশ্রী, সবুজসাথী-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প। বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে নিজের মতামত রাখলেন শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্গা, আজিম প্রেমজি, সঞ্জন জিন্দাল, সঞ্জীব মেহতারা। রাজ্য সরকারের প্রশংসা রাজ্যপালের গলায়। তিনি বলেন, “বাংলা আজ যা ভাবে, দেশ তা আগামীকাল ভাবে।