বাংলার বীরভূমের দেউচা-পাচামিতে তৈরি হচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা খনি প্রকল্প। রাজ্য সরকারের বাড়তি উদ্যোগে যথাযথ ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন প্যাকেজ দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু তারপরও জোর করে উচ্ছেদের মাধ্যমে জমি দখল করে রাজ্য সরকার প্রকল্প গড়ছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। আজ, বুধবার এই রাজনৈতিক বার্তা নিয়ে দেউচা প্রকল্পে ঢুকতে গিয়ে আদিবাসীদের বাধার মুখে পড়লেন দুই বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী, অধীররঞ্জন চৌধুরী। “এটা রাজনীতি করার জায়গা নয়”, এই বার্তা দিয়ে তাঁদের কার্যত গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে বীরভূমের দেউচা-পাচামি প্রকল্পে ঢুকতে যান অধীর চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য নেতারা। তবে সোঁতসাল মোড়ে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। চাঁদা গ্রামের দিকে এগোতে গেলে বীরভূম জীবন-জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার তরফে আদিবাসী সদস্যরা রাস্তা আটকে অবরোধ শুরু করেন। থমকে যান অধীর চৌধুরীরা। তিনি অভিযোগ করেন, জোর করে আদিবাসীদের জমি কেড়ে কয়লা খনি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু মহাসভার তরফে গণেশ কিস্কু, শিবলাল সোরেনরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এটা রাজনীতি করার জায়গা নয়। কোনও রাজনৈতিক নেতাকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না। এরপরই ফিরে যান কংগ্রেস সাংসদ। অন্যদিকে, এদিনই দেউচায় যাওয়ার পূর্বপরিকল্পিত কর্মসূচী ছিল বিজেপিরও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দেউচার উদ্দেশে রওনা দেন। তবে এদিন সকাল থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দেউচা প্রকল্পের কাছে পোস্টার পড়েছিল। লেখা ছিল, “শুভেন্দু অধিকারী দূর হঠো।”
