রাজ্যের শিল্প সম্মেলন (বিজিবিএস) শুরু হয়ে গেল। বিশ্ববাংলা কনভেনশন কেন্দ্রে ২০ এবং ২১ এপ্রিল বসল বিজিবিএসের আসর। প্রথমে এই শিল্প সম্মেলনে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। শিল্প সম্মেলনে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীরা। শিল্পপতিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুখ গৌতম আদানি, সজ্জন জিন্দল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো মুখ। তবে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্রিটেন থেকে এসেছেন ৪৯ জনের শিল্প প্রতিনিধি দল। আর তা ঘিরেই রয়েছে যাবতীয় আগ্রহ। ভারতের বাইরে ১৯ দেশের ২৫০ প্রতিনিধি এসেছেন এ বারের সম্মেলনে।
এই শিল্প সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বিনিয়োগকারীদের সামনে রাজ্যের বদলে যাওয়া শিল্প পরিস্থিতি, উন্নত পরিকাঠামো ও কর্মসংস্কৃতির দিকগুলি তুলে ধরতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় ৷ তৃতীয় বার রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিছিলে, এবার তাঁর লক্ষ্য শিল্প ও কর্মসংস্থান ৷ রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়াতে ও বাংলাকে শিল্প মানচিত্রে তুলে ধরতে তাই এই বাণিজ্য সম্মেলনকেই পাখির চোখ করছে রাজ্য প্রশাসন৷
মূলত এই শিল্প সম্মেলনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাকে একটু আলাদা ভাবে উপস্থাপন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । শিল্প পরিকাঠামো, সুদক্ষ ও পরিশ্রমী শ্রমিক, খনিজ দ্রব্য এবং কাঁচামালের ভান্ডার নিয়ে বাংলা তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে বলে শিল্পপতিদের বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর সেখানেই এবার রাজ্য সরকারের তুরুপের তাস পারে ব্রিটেন থেকে আসা প্রতিনিধি দল।
ইতিমধ্যেই কলকাতায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার নিক লো জানিয়েছেন, ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (বিজিবিএস)-এ এতবড় প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলায় আসতে পেরে আমি আনন্দিত। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালকে সামনে রেখে যে রোডম্যাপ তৈরি করেছেন তাতে ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে শিল্প ও বাণিজ্য সহযোগিতা তথা বিনিয়োগের বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই আমরা এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যোগদান করছি । আমরা পশ্চিমবঙ্গে ইউকে’র বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে চাই।’
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যে যে সমস্ত ব্রিটিশ সংস্থা রয়েছে তারা পশ্চিমবঙ্গে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে চাইছে। ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার নিক লো আশা প্রকাশ করেন, দু’দিনের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ব্রিটেনের প্রতিনিধিদল শিক্ষা,পর্যটন,পরিবহণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে পারে। এখন দেখার বাস্তবে সেই বিনিয়োগের পরিমান কী দাঁড়ায়।