জাহাঙ্গীরপুরিতে শুরু হয়েছিল উচ্ছেদ অভিযান। বুধবার সকাল থেকেই এলাকায় হাজির হয়ে গিয়েছিল ৪০০ বুলডোজার। কাজও শুরু করে দিয়েছিল উত্তর দিল্লি পুরনিগম। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে হল।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট দুষ্মন্ত দাভে, কপিল সিবাল, পাভ সুরেন্দ্রনাথ এবং প্রশান্ত ভূষণ আজ সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি উত্থাপিত করলে আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামীকাল মামলার শুনানি হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি এনভি রামন্না।
দিল্লির বিজেপি সভাপতি আদেশ গুপ্তা জাহাঙ্গীরপুরির ‘বেআইনি দখলদার’দের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আগেই। এরপরই এই নির্মাণকাজগুলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে উত্তর দিল্লি পুরসভা। সেই মতো অভিযান শুরু হয় বুধবার।
এরপরই সকাল সকাল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দুষ্মন্ত দাভে, কপিল সিব্বল, পাভ সুরেন্দ্রনাথ এবং প্রশান্ত ভূষণ। তাঁরা বলেন, ‘দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাঙ্গীরপুরীতে এটা সম্পূর্ণ বেআইনি একটা ধ্বংসযজ্ঞ। কাউকে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি এবং কারও কথাও শোনা হয়নি। আমরা এই অভিযান বন্ধের আবেদন করছি।’
এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ঠিক আছে, আমরা স্ট্যাটাস কুয়ো অর্ডার করছি। আগামীকাল অন্য বিষয়গুলির সঙ্গে এই বিষয়টিও তোলা হোক।’ উল্লেখ্য, এর আগে মুসলিম সংগঠন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, যদি কারোর উপর হিংসায় যোগের সন্দেহ থাকে, তাহলে তার বাড়িতে কেন বুলডোজার চালানো হবে?