একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ-বিজেপির অন্দরে চলছে মুষল পর্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ, কলকাতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বৈঠক, বনগাঁয় চড়ুইভাতি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ, লোকাল ট্রেন থেকে কলকাতার রাজপথে পোস্টার— নানা ভাবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব দলেরই অন্য অংশ। এরই মধ্যে একের পর এক উপনির্বাচন, পুরভোটে হারের মুখ দেখেছে দল। একই ছবি আসানসোল এবং বালিগঞ্জের উপনির্বাচনেও। আর তা নিয়েই দলের রাজ্য নেতৃত্বের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। শুরু হয়েছে দলের অন্দরে বিভিন্ন সাংগঠনিক পদ ছেড়ে প্রতীকী প্রতিবাদের হিড়িক। এরই মধ্যে উপনির্বাচনের ভরাডুবির পর টুইট করেছিলেন তথাগত রায়। খোঁচা দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতাদের। এবার সেই খোঁচার পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ তোলেন, তৃণমূলের থেকে সুবিধা নিয়েছেন তথাগত রায়। বিজেপির সহসভাপতির কথায়, ‘নির্বাচনে একটা আসনে জিততে পারেননি। প্রতিদিন টুইট করেন। এটা একটা বাতিক। কোনও যোগ্যতা নেই।’
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যারা জীবনে একটা পঞ্চায়েত জিততে পারেননি, জেতাতে পারেননি, তারা লোককে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। আমি তো কোনওদিন পাত্তাই দিইনি এসব ফালতু লোককে। সমাজের কেউ ভাবে না এ সব। কিন্তু নিজের অস্তিত্ব রাখার জন্য, মিডিয়াতে নিজেদের মুখ রাখার জন্য কেউ কেউ টুইট করছেন, বিবৃতি দিচ্ছেন। আমি তাদের বলব, দল এখন দুর্বল হয়েছে, একটু দম দেখান যদি দম দেখান। যদি দম থাকে দেখান পার্টিকে জিতিয়ে। মানুষ আপনাদের মেনে নেবেন। বাড়ির মধ্যে বউকে পেটাতে পারে সবাই, রাস্তায় এলে মার খেয়ে বাড়ি যেতে হবে।’ উল্লেখ্য, তথাগত উপনির্বাচনে বিজেপির বেহাল দশা প্রসঙ্গে টুইটারে লিখেছিলেন, ‘উপনির্বাচনে বিজেপির যা ফল হল তা তো অপ্রত্যাশিত নয়! শুধু শুধু দুটো মেয়েকে এই উৎকট গরমের মধ্যে ঘুরিয়ে অপমান করানো হল। বেবুন এবং ফিটার মিস্ত্রি যা মজা লুটবার তা তো লুটে নিয়েছে।’ এই টুইটের জবাবেই পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে দিলীপ বলেন, ‘যোগ্যতা নেই কিছু। কিচ্ছু করে দেখাতে পারেননি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, জ্যোতিবাবুর থেকে তিনি সুবিধা নিয়েছেন। তৃণমূলের থেকে সুবিধা নিয়েছেন। পার্টির থেকেও সব সুবিধা নিয়েছেন, আর দিয়েছেন জিরো।’