বাংলাজুড়ে প্রশাসনিক কাজকে আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে এবার জেলার সংখ্যা বাড়াতে চাইছে নবান্ন। বাংলায় মোট ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। অথচ জেলার সংখ্যা মোটে ২৩। বাংলার চেয়ে আয়তনে ছোট অনেক রাজ্যেই জেলার সংখ্যা বেশি। বড় জেলাগুলিকে ভাঙতে চাইছে নবান্ন। জেলার সংখ্যা বাড়িয়ে প্রশাসনিক কাজ সুপরিচালনার জন্য অনেক বেশি আমলার প্রয়োজন। দরকার জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের। রাজ্যে আমলার সংখ্যা বাড়াতে এবার দিল্লীর ইউপিএসসিকে চিঠি দেবে রাজ্য। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে আমলার সংখ্যা কম। বহু আমলাকে প্রয়োজনে দিল্লী ডেকে নেয়। এমন পরিস্থিতিতে জেলা বাড়াতে প্রয়োজন বহু দক্ষ আমলার। তাই ইউপিএসসিকে চিঠি দিয়ে নতুন আইএএস এবং আইপিএস ক্যাডার চাইবে রাজ্য।
উল্লেখ্য, দক্ষভাবে প্রশাসন পরিচালনা করতে গেলে শুধু কেন্দ্রীয়স্তরের আমলা নয়, প্রয়োজন হবে রাজ্যস্তরের আমলা অর্থাৎ ডব্লুবিসিএস এবং ডব্লুবিপিএস ক্যাডারও। সেই সংখ্যাও বাড়াতে হবে। কোনস্তরে কত সংখ্যক ডব্লুবিসিএস ও ডব্লুবিপিএস ক্যাডার প্রয়োজন, তা ঠিক করতে বিশেষ একটি কমিটি তৈরি করছে রাজ্য সরকার। এই কমিটিতে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ একাধিক দপ্তরের সচিবরা। রাজ্য চাইলেই কিন্তু ডব্লুবিসিএসড ও ব্লুবিপিএস-এর সংখ্যা বাড়াতে পারে না। সেক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন। এই কমিটি সেই বিষয়গুলি দেখভাল করবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস ইউপিএসসি পরীক্ষায় বাংলার পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কম। বছরের পর বছর ধরে এটাই যেন ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত কোনও কোনও বাঙালির কাজ সেই উৎসাহকেই আরও বাড়িয়ে তোলে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরীক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর উদ্যোগে বছর সাতেক আগে সল্টলেকে তৈরি হওয়া সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারের পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। রাজ্যেও দক্ষ আমলা তৈরির পাশাপাশি দিল্লীর কাছেও চিঠি দিচ্ছে রাজ্য সরকার।