শনিবার ফল প্রকাশের পরেই দেখা যায়, আসানসোল উপনির্বাচনের গোহারা হেরেছে বিজেপি। বিগত বেশ কিছু বছর ধরে তা গেরুয়া শিবিরের গড় বলে পরিচিত হলেও এবার সেখান থেকে সাফ হয়ে গিয়েছে পদ্ম। আর এর পরেই আসানসোলে বিজেপি কার্যালয়ে বিক্ষোভের আগুন। আসানসোল উপনির্বাচনে হারের পর রবিবার দলের নীচু তলার কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন পশ্চিম বর্ধমান বিজেপির জেলা সভাপতি।
জানা গিয়েছে, গতকাল জেলা সভাপতি আসানসোলের ওই কার্যালয়ে বসেছিলেন। কথা বলছিলেন। সেই সময় আচমকা একদল বিজেপি কর্মী হইহই শুরু করেন দলীয় কার্যালয়ের ভিতরেই। সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। প্রশ্ন তোলেন, এই হারের কারণ কী? একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এত খাটার পরও কেন এই হার তাঁরা মেনে নেবেন? এই নিয়ে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। অবশেষে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে জেলা সভাপতি পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান।
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছিল আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে। ভোটের পর্যবেক্ষক করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। যিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রচারে ছিলেন অর্জুন সিংও। তারপরেও দলের হারে শনিবার থেকেই ফুঁসছিলেন জেলার কর্মীরা। এই হারের কারণ খুঁজতে নেমে সাংগঠনিক একতা নিয়েও কারও কারও মনে প্রশ্ন ওঠে। যে আসানসোল দিয়ে বাংলায় বিজেপির খাতা খোলা, সেই আসানসোলই উপনির্বাচনে হারাতে হল, মেনে নিতে পারছেন না দলের নেতা কর্মীরা।