বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের শেষপর্যন্ত ফলের দিকে তাকিয়ে আছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়, যিনি কিনা বিজেপি ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন ঘাসফুলে। যদিও উপনির্বাচন হওয়ায় ভোট অনেক কম পড়েছে বালিগঞ্জে। কিন্তু প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বালিগঞ্জে চোদ্দ রাউন্ডের শেষে ১০৮৫১ ভোটে এগিয়ে বাবুল সুপ্রিয়। যদিও ব্যবধান অনেকটাই কমেছে তাঁর। তবে, জয় একপ্রকার নিশ্চিত হতেই বাবুল বলেন, ‘বালিগঞ্জের মতো একটা জায়গায় দাঁড়িয়েছি আমি। চওড়া হাসি হাসব, সময় আসুক। আমি আরও খুশি আসানসোল নিয়ে। জানতাম শত্রুঘ্ন সিনহা জিতবেন, কিন্তু এত ব্যবধানে জয় বিজেপিকে উচিত জবাব দিল। আসানসোল আমার কাছে সবসময় স্পেশ্যাল। আমরা সবাই মিলে কাজ করব।’
তাৎপর্যপূর্ণ বাবুলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছেন সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। তিনি উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে। আর বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ চলে গিয়েছেন তৃতীয় স্থানে। যা নিঃসন্দেহে গেরুয়া শিবিরের কাছে বিরাট অস্বস্তির। চোদ্দ রাউন্ড শেষে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল পেয়েছেন ৩৮০২১ ভোট, উল্লেখযোগ্যভাবে সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম পেয়েছেন ২৭১৭০ ভোট, তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৭৩৯১ ভোট আর কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৪৬৭৩ ভোট।
সবমিলিয়ে বালিগঞ্জে ১৯ রাউন্ড ভোট গণনা হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু যেহেতু বালিগঞ্জে মাত্র ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে, তাই আর কিছু সময়ের মধ্যেই এই উপনির্বাচনের ফলাফলের চিত্রটা একেবারে স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন৷ প্রসঙ্গত, বিগত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে যতগুলি উপনির্বাচন হচ্ছে, বিরোধী হিসেবে বামেদের উত্থান বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। বালিগঞ্জের ক্ষেত্রেও সেই ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী যেভাবে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন বালিগঞ্জে, তা গেরুয়া শিবিরের কাছে নিঃসন্দেহে উদ্বেগের।