চিকিৎসামহলে নেমে এল শোকের ছায়া। কৃত্রিম উপায়ে প্রজননের অন্যতম দিশারী, তথা দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী প্রয়াত হলেন। সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রখ্যাত চিকিৎসকের বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। বেশ কয়েকদিন আগে সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় তাঁর। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তারপর থেকে তার একের পর এক শারীরিক অসুস্থতা লেগেই ছিল। গত বছর মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। জ্বরও আসে তাঁর। কোভিড পরীক্ষা করা হয়। তারপরই জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন। ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে শারীরিক অসুস্থতা ছিলই। কয়েকদিন আগে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। সেখানেই শুক্রবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ কককিন তিনি।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে আইভিএফ চিকিৎসার অতি পরিচিত নাম বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী। কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন অর্থাৎ নলজাতক নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক ছিলেন এই বর্ষীয়ান চিকিৎসক। চিকিৎসার জন্য ‘ইনস্টিটিউট অব রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিন’ প্রতিষ্ঠান গড়েন বৈদ্যনাথবাবু। সময়টা ১৯৮৬ সাল। সে বছরই বাংলায় প্রথম তাঁর হাত ধরে টেস্ট টিউব বেবির জন্ম হয়। তাঁর তৈরি করা গবেষণাপত্র ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ’ আইসিএমআরের হাতে তুলে দেন চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী। শুক্রবার সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর প্রয়াণে শোকাহত চিকিৎসকেরাও। চিকিৎসক সুজয় ঘোষ শোকপ্রকাশ করে বলেন, “তাঁর কাছ থেকে তো সব কিছু শিখেছি। গবেষণার দিক তিনিই দেখিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যু মানতে পারছি না।”
![চিকিৎসামহলে শোকের ছায়া - প্রয়াত টেস্ট টিউব শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2022/04/WhatsApp-Image-2022-04-15-at-3.53.59-PM-3.jpeg)