অন্যান্য রাজ্য থেকে এবার ব্রিটিশ বিনিয়োগ সরে আসছে বাংলায়। পাশাপাশি ইউনাইটেড কিংডম এরাজ্যে বিনিয়োগ করতে চলেছে ই-বাইক উৎপাদনেও। কলকাতায় মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা জানালেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়েমি ওডানাই।
তিনি বলেন, অন্যান্য রাজ্যে উপস্থিতি আছে, এমন ১৮টি ব্রিটিশ সংস্থা বাংলায় সরে আসতে চাইছে বা ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চাইছে। পাশাপাশি এখানে একটি ই-বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিনিয়োগ আসবে সে-দেশ থেকে। রেলের লগ্নিও ফলপ্রসূ হতে চলেছে শীঘ্রই। আগামী সপ্তাহে, ২০ এপ্রিল কলকাতায় শুরু হচ্ছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। সেখানে ৩৫জন ব্রিটিশ প্রতিনিধি থাকবেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি হেড অব মিশন। তিনি বলেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকেও ২১ জনের একটি প্রতিনিধি দলের এখানে থাকার কথা, যার মাধ্যমে দু’দেশের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা-সংক্রান্ত আদান-প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও উপস্থিত থাকবে ওই শিল্প সম্মেলনে।
এমসিসিআইয়ের এদিনের অনুষ্ঠানে কলকাতায় নিযুক্ত জাপানের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল ইয়ামাসাকি মাৎসুতারো বলেন, এরাজ্যে ২০০টি জাপানি সংস্থা বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে ২৭টি এদেশ থেকে ব্যবসার কাজ চালানোর জন্য বাংলায় প্রধান কার্যালয় স্থাপন করেছে। তাঁর কথায়, বাংলা যে সত্যিই বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত জায়গা, তার প্রচার করা জরুরি। যেসব নামী জাপানি সংস্থা এখানে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা করছে, তাদের কাহিনি সামনে আনতে হবে।
কলকাতায় নিযুক্ত চীনা কনসাল জেনারেল ঝা লিউ বলেন, বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে সাতটি সংস্থা যোগ দেবে চীন থেকে। সে-দেশের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে এরাজ্যের ব্যবসা বাড়ানোর যে সুযোগ আছে, তাকে কাজে লাগানোর উপর জোর দেন তিনি। বলেন, ইউনান থেকে লাওস পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চলছে। আবার চলছে মায়ানমার পর্যন্তও। পণ্য পরিবহণে এগুলি এতটাই কাযর্কর যে, সময় ও খরচ দু’টিই অনেকটা কমাতে পারে। বাংলা তথা ভারতের বণিকমহলের উচিত, সুযোগটির সদ্ব্যবহার করা।