হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে তেলের দাম। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে সাধারণ মানুষের। ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের পকেটে। রান্নাঘরের বাজেট কম করতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বহু পরিবার তেল ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়েছেন। কেউ আবার তেল কিনতে অন্য খরচ কমিয়ে দিয়েছেন। তেলের দাম যে পকেটে চাপ ফেলেছে, সে কথা অস্বীকার করছেন না কেউই।
দেশে রান্নার তেলের দাম রয়েছে অগ্নিমূল্য। ক্রমেই লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়ে চলেছে ভোজ্য তেলগুলির। যার ফলে চাপ পড়ছে, রান্নাঘরের বাজেটে। বাজেট কাঁটছাঁট করতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের উপর কতটা প্রভাব ফেলেছে তা জানতে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তবে, আশার কথা হল, সম্প্রতি একটি রিপোর্ট দেখাচ্ছে কমেছে ভোজ্য তেল ও তৈলবীজের দাম। যদিও সেই দাম পাইকারি রেটে কমেছে। তবে তাতেও তা গত বছরের তুলনায় এখনও অনেকটা বেশি। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষরা বলছেন, ভোজ্য তেল হিসাবে তাঁরা সানফ্লাওয়ার অয়েল, পেনাট অয়েল, সরষের তেলই বেশি ব্যবহার করেন।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ২৪ শতাংশ পরিবার তেলের দাম বাড়তেই ভোজ্য তেল ব্যবহারের পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে ২৯ শতাংশ পরিবার বলছে, দাম বাড়তে বাজেট ঠিক রাখার জন্য তাঁরা কোয়ালিটির সঙ্গে আপোষ করছে। কম দামের তুলনামূলক নিম্নমানের তেল কিনছেন তাঁরা। ২৩ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, যারা এই সমীক্ষায় উত্তর দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ শতাংশ হলেন মহিলা। তেলের দাম যে তাঁদের রান্নাঘরের বাজেটে প্রভাব ফেলেছে, তা মেনে নিয়েছেন সকলেই।
উল্লেখ্য, ভোজ্য তেলের ব্যাপারে ভারত এখনও পুরোপুরি আমদানি নির্ভর।
গত বছরের ঘনভেম্বর থেকে তেলের দাম বেশ কিছুটা কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই সরবরাহে বিরাট ঘাটতি দেখা যায়। কারণ, ইউক্রেন ভারতকে বড় অংশে তেল সরবরাহ করে। সেই ঘাটতির জেরেই চড়চড় করে দাম বেড়েছে ভোজ্য তেলের।