এনআরসি দফতর ২৭ লক্ষেরও বেশি মানুষের বায়োমেট্রিক তথ্য ‘লক’ করে রাখায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে আসামের ২৭ লক্ষেরও বেশি মানুষকে। এর বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সুস্মিতা দেব।
প্রসঙ্গত, আসামে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করলেও সেই তালিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে ‘নোটিফাই’ করেনি রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা আরজিআই। সুপ্রিম কোর্টের এসওপি-র দোহাই দিয়ে ২৭ লক্ষেরও বেশি মানুষের বায়োমেট্রিক তথ্য ‘লক’ করে রেখেছে এনআরসি দফতর। ফলে তাঁরা আধার কার্ড পাচ্ছেন না, বঞ্চিত হচ্ছেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড-সহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে।
এদিন সুস্মিতার পক্ষে মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের এসওপি-তে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরেই বায়োমেট্রিক তথ্যের লক খুলে দেওয়ার নির্দেশ ছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি পি এস নরসিংহের বেঞ্চ ১৭ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে এ নিয়ে কেন্দ্র, আসাম সরকার, আধার কর্তৃপক্ষ ও আরজিআই-য়ের বক্তব্য জানতে চেয়েছে।