জলের সমস্যা চিরকালের। চিরন্তন। এখনও প্রচুর গ্রামে জলের ঘাটতি মেটেনি। জল পৌঁছায়নি ঘরে ঘরে। এখনও ১৮-১৯ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া নেই। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পুর এলাকার পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া ও মুর্শিদাবাদের একাধিক পুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ নেই। তবে এবার বড় উদ্যোগ রাজ্য পুর দফতরের।
রাজ্যের পুর এলাকার বাড়িগুলিতে কত জল খরচ হচ্ছে তারই হিসাব কষতে চাইছে পুরদফতর। আর সেই নিরিখে প্রতিটি বাড়িতে ফ্লো মিটার বসানো হবে। পুরদফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রতিটি পুরসভায় এনিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ফ্লো মিটার বসিয়ে কি জলকর বসানোর রাস্তায় হাঁটবে পুরসভা? এই ফ্লো মিটার বসানোর খরচ কারা দেবে?
এদিকে পুর দফতর সূত্রে খবর, এখনও ১৮-১৯ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া নেই। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পুর এলাকার পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া ও মুর্শিদাবাদের একাধিক পুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ নেই। তবে নতুন করে জল সংযোগ নিতে গেলে জলের মিটার বসানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কর বসানোর কোনও পরিকল্পনা এক্ষেত্রে নেই। মূলত কত জল ব্যবহার করা হচ্ছে, কত জল অপচয় হচ্ছে এসব সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা করতে চাইছে পুরদফতর। তবে ফ্লো মিটার বসানোর খরচ পুরোটাই পুর দফতর বহন করবে।
এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট বাড়িকে কোনও খরচ করতে হবে না। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, আমরা জলের মিটার বসানোর জন্য বলেছি। কিন্তু সেটা জলের কর নেওয়ার জন্য নয়। কত পরিমাণ জল কাজে লাগছে, তা বুঝতে পারব এর মাধ্যমে। জলের অপচয় বন্ধ করতে এই হিসেব কাজ করবে।