রাজ্যের দিকে দিকে হিংসার শিকার হতে হচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের। এবার ফের খুন এক শাসক দলের কর্মী। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তাঁর বন্ধুরাই। খুনের পর দেহ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মালদহের ইংরেজবাজার চত্বর। এই ঘটনায় ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও অধরা অভিযুক্ত।
মৃত শুভজিৎ বসাক মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা। বছর উনিশের ওই যুবক একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। তাঁর মা রুম্পা পরিচারিকার কাজ করেন। তিনি জানান, রবিবার সন্ধে সাতটা পর্যন্ত ওই কাপড়ের দোকানেই ছিলেন শুভজিৎ। তারপর দীপ এবং রাহুল নামে দুই বন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেনি শুভজিৎ। অভিযোগ, দীপ নামে ওই বন্ধু শুভজিতের বাড়িতে আসে। শুভজিতের খোঁজ নেয়। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। তার পিছু পিছু ছেলেকে খুঁজতে বেরন শুভজিতের মা। এরপরই তিনি শুনতে পান, তাঁর ছেলে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে কান্নাকাটি করতে শুরু করেন।
ইতিমধ্যে দীপ এলাকা ছাড়ে। এদিকে, শুভজিতের মায়ের কান্নাকাটি শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। মালদহ মেডিক্যালে যান সকলে। তাঁরা দেখেন ওই হাসপাতালেই রয়েছে যুবক। তাঁর মাথা এবং মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, শুভজিতের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর দেহ ওই হাসপাতালেই ময়নাতদন্ত হবে। তারপরই পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে শুভজিতের দুই বন্ধু – দীপ ও রাহুলের। নিহতের মায়ের দাবি, শুভজিৎকে খুন করেছে তাঁর দুই বন্ধুই। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শুভজিতের মা।