অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান। আজকের রাত পেরোলেই আগামীকাল আসতে চলেছে সেই দিন। অপেক্ষা আর কিছুঘন্টার। ভোটের উত্তাপে সরগরম চারদিক। ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। শুধু আজকের রাতটা। রাত পোহালেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। দু-পক্ষই জোরদার প্রচার চালিয়েছেন। এখন জয়লক্ষ্মী কার প্রতি সদয় হবে, সেটাই দেখার। তবে সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার আসানসোল নিয়ে আশঙ্কার বার্তা দিলেন।
জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে ভোট প্রচারে গিয়ে আসানসোলের সাত পুকুরিয়া অঞ্চলে জনসংযোগে নেমে বলেন, বিজেপির সঙ্গে রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় সরকার আছে, কিন্তু জনগণ নেই। এছাড়া ইডি, সিবিআই তো আছেই। ভোট এলেই ইডি ও সিবিআইকে কাজে লাগায় বিজেপি। এবারও তার অন্যথা হয়নি।
প্রসঙ্গত, এর আগে আসানসোল থেকে তৃণমূল কখনও জয়যুক্ত হয়নি। প্রথমে কংগ্রেস পরে সিপিএমের দখলে ছিল আসানসোল। এখন পরপর দুবার এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয় বিজেপি। এবার তৃণমূল এই কেন্দ্র থেকে জয় পেতে চাইছে। সেই কারণেই শত্রুঘ্ন সিনহার মতো হেভিওয়েট এবং জনপ্রিয় মুখকে বেছে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে প্রার্থী করেছেন বাবুল সুপ্রিয়ের ছেড়ে আসা কেন্দ্রে।
যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভপাতি জয়প্রকাশ মজুমদার, সেখানে তিনি বলেছেন, বাংলায় বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে। একথা একেবারেই সঠিক। মমতা বন্দ্য্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই বলেছেন গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর সেটাই হচ্ছে বাংলায়। বিজেপি বাংলার বুকে অশান্তি তৈরি করেছে। পরতে পরতে তা লক্ষ্যণীয়।
জয়প্রকাশের কথায়, আসানসোল উপনির্বাচনের লড়াইটা মোদীর সঙ্গে দিদির। শত্রুঘ্ন সিনহাকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রার্থী করে পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা ভারত তাকিয়ে রয়েছে এই আসানসোলের দিকে।
কারণ আগে এখানে বিজেপি জিতেছে। এরপর সাধারণের উদ্দেশে জয়প্রকাশ বলেন, জেনে রাখবেন এই নির্বাচনে জিতলে বা হারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুর্সি বদল হবে না, দিদি মুখ্যমন্ত্রীই থাকবেন।
মোদী বিদায়ের কাব্য আসানসোল থেকেই শুরু হবে
কিন্তু যদি আসানসোলে বিজেপি জিতে যায়, তবে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন করতে ঝাঁপাবেন মোদী-শাহরা। তাই বুঝতে হবে এই লড়াইটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মুকের মতো জবাব দিতে হবে।
আর বিজেপিকে সেই জবাব দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে আসানসোলবাসী। আসানসোলবাসী এবার ঘাসফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে তৃণমূলকে ব্যাপক ব্যবধানে জয়যুক্ত করবেন। মোদী বিদায়ের কাব্য এই আসানসোল থেকেই শুরু হবে।