এবার রামনবমীর উপলক্ষে আয়োজিত সব শোভাযাত্রাকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হল তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া এবং জগদ্দলে যৌথ শোভাযাত্রার ডাক দিলেন দলের বিধায়ক। আগামী রবিবার রামনবমী। করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় এবছর ধুমধাম করে দিনটি পালন করবে বলে আগেই জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তবে, পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। প্রতিবার উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল ও ভাটপাড়া এলাকায় আলাদা আলাদা ভাবে একাধিক শোভাযাত্রা বেরোয়। এবার মহাবীর জয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির ব্যানারে সেই সব শোভাযাত্রাকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হল জোড়াফুল শিবির।
এপ্রসঙ্গে জগদ্দলের তৃণমূলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, “রাম শক্তির প্রতীক, তাঁর জন্মদিনে কোনও রাজনীতি নেই। সবাইকে মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য স্বাগত জানাচ্ছি।” তৃণমূল সূত্রে খবর, শোভাযাত্রা হবে ২টি রুটে। একটি শোভাযাত্রা বিচালি ঘাট থেকে মেঘনা মোড়, গোলঘর হয়ে আর্যসমাজ মোড়ে শেষ হবে। আর একটি শোভাযাত্রা যাবে আর্যসমাজ মোড়, ভাটপাড়া মোড় হয়ে কাঁকিনাড়ার মাদ্রাল পর্যন্ত। ভাটপাড়া এলাকায় তৃণমূলের পাশাপাশি, সাধারণ মানুষকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে ফ্লেক্স দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গেরুয়া শিবিরের দাবি, যৌথ মিছিল নিয়ে তাদেরকে কেউ কিছু জানায়নি। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, “খুব ভাল কথা। তবে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি।”
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করে, গোটা রাজ্যে রামনবমী কর্মসূচী সফল করতে এবার এগিয়ে এসেছেন তৃণমূলের নেতা-বিধায়করা। তার পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সেই সময় বলেন, “রামনবমী পালনে অসুবিধা নেই। কিন্তু এরা রামকে নিয়ে ব্যবসা করে, রাজনীতি করে। যে যার ধর্ম পালন করবে। তা নিয়ে কারও কোনও আপত্তি নেই।” এই আবহেই জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়কের রামনবমী-উদ্যোগ। কয়েক বছর ধরে বিজেপি এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় ভাটপাড়া-জগদ্দলে।