রিল লাইফের গল্প রিয়েল লাইফে তুলে ধরতে চলেছেন আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। পর্দার মঙ্গল, বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত। তাই রিল লাইফের গল্প, এবার রিয়েল লাইফে শোনাচ্ছেন ‘বিহারীবাবু’। শত্রুঘ্ন সিনহার ফিল্মি কেরিয়ারে তাঁর অ্যাংরি লুকের অন্যতম দুই সিনেমা ছিল কালা পাথর ও কালকা। যেখানে খনি অঞ্চলের শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন, শোষণের গল্প বলা ছিল। আর সেই অত্যাচার বা খনি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে রুখে দাঁড়িয়েছিল পর্দার মঙ্গল।
বাস্তবের শত্রুঘ্ন অবশ্য সেই খনি এলাকাতেই এবার তার রাজনৈতিক লড়াই শুরু করেছেন। আর সেখানেই তিনি আওয়াজ তুলেছেন খনি বেসরকারিকরণ করা যাবে না। ইতিমধ্যেই একাধিক কর্মীসভা, সভা বা প্রচার কর্মসূচিতে তিনি এই কথা তুলে ধরেছেন। পর্দার মঙ্গল আর বাস্তবের শত্রুঘ্ন যে একই মানুষ তা বোঝাতে এবার তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। খনি এলাকায় এবার তাই প্রজেক্টর বা জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে শত্রুঘ্ন সিনহার অভিনীত এই দুই ছবি৷ তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন মন্ত্রী মলয় ঘটকের পরিকল্পনায় এই উদ্যোগ নিচ্ছে আসানসোল খনি এলাকা জুড়ে৷ ইতিমধ্যেই সোম থেকে বৃহস্পতি বিভিন্ন খনি এলাকায় বা শ্রমিক মহল্লায় কুড়ি বারের বেশি দেখানো হয়েছে এই দুই সিনেমা।
মূল উদ্দেশ্য এটা বোঝানো যে পর্দার ‘মঙ্গল’ বাস্তবে তাদের কাছে ফিরে এসেছে ৷ সে এই লড়াই ফের তাদের পাশে এসে লড়বে। অন্যদিকে বিহারীবাবু যে জোড়া ফুল শিবিরের প্রার্থী তা মনে করিয়ে দিচ্ছে এলাকার বিশেষ করে কয়লা খনি এলাকার মানুষদের৷ রাণিগঞ্জ, পান্ডবেশ্বর-সহ একাধিক খনি এলাকাতেই তাই সন্ধ্যা নামলেই দেখানো হয়েছে এই সিনেমা। পর্দার মঙ্গল এমন একটা চরিত্র যে কয়লা খনি শ্রমিকদের দূর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। সেই রিল লাইফ আসলে বাস্তবে তৈরি হলেও তৃণমূল কংগ্রেস যে এগিয়ে আসবে সেটাই বলা হচ্ছে এই প্রচারের মাধ্যমে।