ইংরেজি নয়, তার বদলে হিন্দী চালু করতে হবে। সরকারি ভাষা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর মতে, ভিন রাজ্যের দুই ব্যক্তির কথোপকথনে ইংরেজির বদলে হিন্দীকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবেই দেশের সংহতি বজায় থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, কমবেশি ৭০ শতাংশ সরকারি কাজ এখন এমনিতেই হিন্দীতে হয়। আগামী দিনে সেটা আরও বাড়াতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, ‘ইংরেজির বিকল্প ভাষা হতে পারে একমাত্র হিন্দী। অন্য কোনও স্থানীয় ভাষা নয়। তবে হিন্দীকে অন্যান্য ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করে নমনীয় হতে হবে’।
শাহর বক্তব্য, ‘যখন দু’টি আলাদা ভাষার সরকারি কর্মী নিজেদের মধ্যে কথা বলবেন, তাঁদের ভাষা যেন এদেশীয় হয়। ইংরেজি নয়’। তাঁর মতে, ‘এতে অবশ্যই হিন্দীর গুরুত্ব বাড়বে। সরকারি ভাষাকে দেশের সংহতি রক্ষার কাজে ব্যবহার করার সময় এসে গিয়েছে’।
শুধু তাই নয়, অমিত শাহ চাইছেন নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব পড়ুয়াকে প্রাথমিক হিন্দী শিক্ষা দেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের হিন্দী শিক্ষার পক্ষে জোরাল সওয়াল করেছেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার সরাসরিই অহিন্দি ভাষী রাজ্যগুলির উপর হিন্দী চাপিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।