সাংবাদিককে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে নির্মম অত্যাচার! মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার এই ছবিই আপাতত ভাইরাল। শুধু সাংবাদিক নন, একইভাবে অর্ধনগ্ন করে আরও অন্তত ৭ জনকে হেনস্তার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। আইনরক্ষকদের এহেন কীর্তি নিয়ে সমালোচনায় সরব সব মহল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে টুইটে গর্জে উঠেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘এটাই আচ্ছে দিন, এটাই নতুন ভারত। প্রতিবাদ করলেই নেমে আসছে নিষ্ঠুর অত্যাচার। লজ্জা’! এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নামও তিনি উল্লেখ করেছেন টুইটে।
অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লার ছেলের একটি অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে ৮ জনকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তার মধ্যে ছিলেন এক সাংবাদিকও। তাঁর বিরুদ্ধে অন্য এক অভিযোগও ছিল। থানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে তাঁদের অর্ধনগ্ন করে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। দুই তদন্তকারী অফিসার সেই ছবি ফাঁস করার পরই শোরগোল পড়ে যায়। ব্যাপক চাপে পড়ে পুলিশ। থানার ভিতরকার ছবি এভাবে প্রকাশ্যে আনায় ওই ২ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে বলে আপাতত বিতর্ক সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তবে তাতে বিতর্কে আঁচ কমেনি এতটুকুও। সাংবাদিক হেনস্তার প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভে শামিল হয় মধ্যপ্রদেশের শিল্পীমহলের একাংশ।
সিধির সাংবাদিক ব্রিজেশ পাঠক নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, ‘বিক্ষোভ চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন কয়েকজন। পুলিশ তাঁদের থামিয়ে বলতে থাকে, শিল্পী নীরজ কুন্দরার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ রয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। থানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করা হয় তাঁদের। এর মধ্যে ছিলেন আমাদেরই এক সহকর্মী সাংবাদিক। ২ পুলিশ অফিসার তাদের ছবি তুলে ভাইরাল করে দেন’।
ঘটনার প্রতিবাদে টুইটারে আছড়ে পড়ছে নানা প্রতিক্রিয়া। সরব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর টুইট, ‘এটাই আচ্ছে দিনের নমুনা। নরেন্দ্র মোদির জমানায় দমনপীড়নই নিয়ম হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই নেমে আসছে নির্মম অত্যাচার। রাষ্ট্রশক্তির এভাবে অপব্যবহার হচ্ছে। লজ্জাজনক’!