গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ক্রমাগত বাড়ছে জ্বালানির দাম৷ ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও ঊর্ধ্বমুখী৷ পেট্রোল এখন ১১৫ টাকা লিটার ছাড়িয়েছে। আর ডিজেল সেঞ্চুরির পথে। এ নিয়ে গোটা দেশেই ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সাংসদদের তৃণমূল নেত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে সংসদের অভ্যন্তরে মানুষের জন্য আওয়াজ তুলতে। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার কোনও সুযোগই দেয়নি মোদী সরকার। তবে সংসদ অধিবেশনের শেষ দিনে এবার পার্লামেন্ট ভবনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, সুস্মিতা দেব, জহর সরকাররা গলায় আলু, পেঁয়াজ, কলার মালা পরে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। দোলা সেনকে বলতে শোনা যায়, ‘ভুখমারি কি মোদী সরকার, হায় হায় হায় হায়।’
লোকসভায় তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, যে জায়গায় বিষয়টা যাচ্ছে তাতে জিনিসের দামে ভারত পৃথিবীর এক নম্বর জায়গায় পৌঁছে যাবে। মানুষ অসহনীয় অবস্থার মধ্যে রয়েছে। তবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি কথাও বলছেন না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম এই অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সরকার তা করতে দেয়নি।’ মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ দাবি করেছে তৃণমূল। সুদীপের কথায়, উত্তরপ্রদেশের ভোটের জন্য সব চাপা ছিল। যেই ভোট মিটেছে, ওমনি দাম বাড়াতে শুরু করেছে। এদিনই দুপুরে নবান্নে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই মমতা বলেছিলেন, ‘জিনিসের এত দাম বাড়ছে, মানুষ কী খাবে? বিজেপি খাবে?’