টাইম টেবিলের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় ভারতীয় রেলের ‘লেট লতিফ’ তকমা জুটেছিল আগেই। এবার সংসদে ভারত সরকারের অডিট সংস্থা কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর পেশ করা রিপোর্টেও একই কথা বলা হল। রেলের দেওয়া ট্রেন চলাচল সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সিএজি বলেছে, বিগত কয়েক বছরে ‘লেট’ ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে।
তাদের দাবি, এমনিতেই ভারতীয় রেলের সময় মেনে চলার মানদণ্ডটি যথেষ্ট শিথিল। মেল বা এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে ১৫ মিনিট লেটকে স্বাভাবিক বলেই ধরা হয়। তারপরও ২০১২-‘১৩ সালে টাইম টেবিল ধরে চলাচল করত ৭৯ শতাংশ মেল/এক্সপ্রেস। ২০১৮-‘১৯ সালে তাও নেমে এসেছে ৬৯.২৪ শতাংশে। অর্থাৎ একশো শতাংশের ধারে কাছে নেই।
সিএজি বলেছে, ট্রেনের গতি বৃদ্ধি এবং সময় মেনে চলাচল নিশ্চিত করতে বিগত কয়েক বছরে রেল ট্র্যাক আধুনিকীকরণে আড়াই লাখ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। তারপরও কাঙ্ক্ষিত গতি এবং সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করা যায়নি। তারা বলেছে ৪৭৮টি সুপার ফাস্ট ট্রেনের মধ্যে ১২৩টি নির্ধারিত গতিসীমার কম গতিতে চলাচল করেছে।
সিএজি আরও বলেছে, লেট ট্রেনগুলির ৬৬ শতাংশই নির্দিষ্ট সময়ে চলাচল করতে পারত। সেটা সম্ভব না হওয়ার একটি কারণ মালগাড়ি। সময়ে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কোনও নিশ্চয়তা ভারতীয় রেল দেয় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে অনাবশ্যক বিলম্ব হয়।