তপন কান্দুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন নিরঞ্জন ওরফে শেফাল বৈষ্ণব। তিনিই ছিলেন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের প্রত্যক্ষদর্শী। তাই তাঁর রহস্যমৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয়েভজে রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনাকে নিছক আত্মহত্যা হিসাবে মানতে নারাজ বিরোধীরা। তবে এবার বিরোধীদের দাবি খারিজ করে দিল শাসকদল তৃণমূল। পুলিশি তলবের সঙ্গে আত্মহত্যার কোনও যোগসূত্র নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ ঝালদা-বাঘমুন্ডি সড়কপথে গোকুলনগর গ্রামের কাছে কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন নিরঞ্জন। চোখের সামনে তিনি দেখেন আততায়ীরা খুন করছে তপন কান্দুকে। প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে তথ্যের খোঁজে একাধিকবার পুলিশ তাঁকে জেরাও করে। ইতিমধ্যেই তপন কান্দু হত্যা মামলার তদন্তভার নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে এরই মতো মধ্যে বুধবার সকালে নিরঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। বারবার পুলিশি জেরার ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেই সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেন নিরঞ্জন। এ নিয়েই ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা।
তবে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে কুণাল বলেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তদন্তের আগে উপসংহারে পৌঁছতে চাই না। অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করা স্বাভাবিক বিষয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কতটা চাপ নিতে পারছেন বা পারছেন না, সেটা ব্যক্তিগত বিষয়। কেন আত্মহত্যা হবে? তাঁর উচিত ছিল সহযোগিতা করা। তদন্ত তো সিবিআই করছে। তাহলে চাপ নিতে পারছেন কিনা, এসব কথা আসছে কেন? তদন্ত হোক। কী ঘটেছে তা নিশ্চয়ই সামনে আসবে। অযথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে গোটা বিষয়টিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঝালদায় মৃত্যুর রাজনীতিতে কারা লাভবান হচ্ছেন আর কাদের ক্ষতি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।’