এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে রাশিয়ার মিলিটারি অপারেশন চলছে। সেই যুদ্ধের আঁচ পড়েছে গোটা বিশ্বেই। ইতিমধ্যেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। যার ফল ভুগছে ভারতীয় অর্থনীতিও। ফলে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিল ইন্ডিয়া রেটিংস। তাদের অনুমান, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার হবে ৭ থেকে ৭.২ শতাংশ। এর আগে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির এই হার ৭.৬ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল।
ইন্ডিয়া রেটিংস বলছে, আগামী তিন মাস যদি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এই রকম থাকে তাহলে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭.২ শতাংশ। আর যদি আগামী ছয় মাস তেলের দাম বর্তমান স্তরে থাকে তাহলে বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে নেমে আসবে। প্রসঙ্গত, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশীয় বাজারেও। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। যার কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কেনাকাটা করছেন না সাধারণ মানুষ। যার ফলে ধাক্কা খাচ্ছে বাজার।
ইন্ডিয়া রেটিং-এর অনুমান, ২০২২-২৩ সালে দেশের আমজনতার ব্যক্তিগত খরচ ৮ থেকে ৮.১ শতাংশে নেমে আসবে। এর আগে তারা এটা ৯.৪ শতাংশ বলে অনুমান করেছিল। রেটিং এজেন্সির মতে, যদি তিন মাস অপরিশোধিত তেলের দাম বর্তমান স্তরে থাকে, তাহলে গড় খুচরো মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৫.৮ শতাংশ। এ অবস্থা ছয় মাস চলতে থাকলে মূল্যস্ফীতি প্রায় অর্ধ শতাংশ বেড়ে ৬.২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এর আগে তারা ৪.৮ শতাংশ খুচরো মূল্যস্ফীতির অনুমান করেছিল।
এবারের বাজেট পেশের আগেরদিনে সংসদে আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেই সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, চলতি বছর (২০২১-২২ অর্থবর্ষ) ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৯.২ শতাংশ। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, করোনাভাইরাস টিকাকরণ, জোগান সংক্রান্ত খাতে সংস্কার, করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল, রফতানি বৃদ্ধি, মূলধনী খাতে ব্যয় বৃদ্ধির মতো বিষয়ের সমর্থন পাবে ভারতের অর্থনীতি। কিন্তু ইন্ডিয়া রেটিং-এর এই অনুমান তাতে জল ঢেলে দিয়েছে।
